রাজশাহী: বগুড়ার আদমদীঘিতে সাবেক স্ত্রীকে পায়ের রগ
কেটে নৃশংসভাবে হত্যা চেষ্টার মামলায় তালাকপ্রাপ্ত স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড
দিয়েছেন রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।
একই মামলায় অপর তিন আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম আহমেদ খলিলুর রহমান এক জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় দুই আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি হলেন বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার তালশন গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে সোহেল ইবনে করিম (৩৫)।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন বগুড়ার ফুলবাড়ি উপজেলার সরকারপাড়া গ্রামের মনিরুজ্জামান সরকারের ছেলে শাকিল সরকার (২৮), আদমদীঘি উপজেলার সন্তোষ চন্দ্র ঘোষের ছেলে সেনগুপ্ত ঘোষ (৩৫) এবং দুপচাঁচিয়া উপজেলার বাটাহারা গ্রামের খয়বর আলী ফকিরের ছেলে আহাদ আলী (৪০)। এর মধ্যে শাকিল সরকার ও সেনগুপ্ত ঘোষ ছাড়া অন্যরা পলাতক রয়েছেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত সোহেল ও আহাদ আলী এ মামলায় গ্রেফতার হয়। কিন্তু আদালত থেকে জামিন পাবার পর আর আত্মসমর্পণ করেননি। বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করা হয়েছে।
রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের স্পেশাল পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু বাংলানিউজকে জানান, ভিকটিম শিরিন আক্তার (২৫) আসামি সোহেল ইবনে করিমের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ছিলেন। এরপরও নানা কারণে সোহেল তাকে বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকি দিতেন।
২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে আসামিরা একটি মাইক্রোবাসে করে আদমদীঘি উপজেলার মুরইল গ্রামে শিরিন আক্তারের বাবা আজিজার রহমানের বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় বাড়িতে তার বাবা-মা না থাকার সুযোগে আসামিরা তাকে জোর করে বাড়ির পেছনে নিয়ে যায়। এরপর তারা তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় তার দুই পায়ের রগ কেটে দেয়।
এতে শিরিন আক্তার মারা গেছেন ভেবে আসামিরা তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই সময় শিরিন আক্তার মারা না গেলেও চিরদিনের মতো বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
২০১৩ সালের ২৬ আগস্ট শিরিন আক্তার মারা যান। এ ঘটনায় ওই আসামিদের বিরুদ্ধে আদমদীঘি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হলে পুলিশ তাদের আটক করে।
মামলাটি বগুড়া জজ আদালতে চলা অবস্থায় তারা আদালত থেকে জামিন পায়। পরে চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বগুড়া থেকে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।
মোট ১১জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেন। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম খোকন।
একই মামলায় অপর তিন আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম আহমেদ খলিলুর রহমান এক জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় দুই আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি হলেন বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার তালশন গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে সোহেল ইবনে করিম (৩৫)।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন বগুড়ার ফুলবাড়ি উপজেলার সরকারপাড়া গ্রামের মনিরুজ্জামান সরকারের ছেলে শাকিল সরকার (২৮), আদমদীঘি উপজেলার সন্তোষ চন্দ্র ঘোষের ছেলে সেনগুপ্ত ঘোষ (৩৫) এবং দুপচাঁচিয়া উপজেলার বাটাহারা গ্রামের খয়বর আলী ফকিরের ছেলে আহাদ আলী (৪০)। এর মধ্যে শাকিল সরকার ও সেনগুপ্ত ঘোষ ছাড়া অন্যরা পলাতক রয়েছেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত সোহেল ও আহাদ আলী এ মামলায় গ্রেফতার হয়। কিন্তু আদালত থেকে জামিন পাবার পর আর আত্মসমর্পণ করেননি। বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করা হয়েছে।
রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের স্পেশাল পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট এন্তাজুল হক বাবু বাংলানিউজকে জানান, ভিকটিম শিরিন আক্তার (২৫) আসামি সোহেল ইবনে করিমের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ছিলেন। এরপরও নানা কারণে সোহেল তাকে বিভিন্ন সময় হত্যার হুমকি দিতেন।
২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর বিকেলে আসামিরা একটি মাইক্রোবাসে করে আদমদীঘি উপজেলার মুরইল গ্রামে শিরিন আক্তারের বাবা আজিজার রহমানের বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় বাড়িতে তার বাবা-মা না থাকার সুযোগে আসামিরা তাকে জোর করে বাড়ির পেছনে নিয়ে যায়। এরপর তারা তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় তার দুই পায়ের রগ কেটে দেয়।
এতে শিরিন আক্তার মারা গেছেন ভেবে আসামিরা তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই সময় শিরিন আক্তার মারা না গেলেও চিরদিনের মতো বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
২০১৩ সালের ২৬ আগস্ট শিরিন আক্তার মারা যান। এ ঘটনায় ওই আসামিদের বিরুদ্ধে আদমদীঘি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হলে পুলিশ তাদের আটক করে।
মামলাটি বগুড়া জজ আদালতে চলা অবস্থায় তারা আদালত থেকে জামিন পায়। পরে চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বগুড়া থেকে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।
মোট ১১জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত এ রায় দেন। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম খোকন।
সংসদ ভবন থেকে: জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে নিয়ে এবার রসিকতা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে মঙ্গলবার (২৮ জুন) স্বাস্থ্যমন্ত্রী এরশাদকে নিয়ে রসিকতা করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এরশাদ সাহেবের সবই ভালো কিন্তু কিছু দোষ আছে
উনি মাঝে মাঝে সিদ্ধান্ত ও প্রেমিকা বদলান।
এবার আবার এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ সংসদে একটি কবিতার লাইন পড়ে শোনান। রওশন এরশাদ বলেন, ‘বুঝি গো আমি বুঝি গো এ ছলনা, কী তুমি বলিতে চাও আমি বুঝি না।’
বুধবার (২৯ জুন) সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধীদলীয় নেতার এই কবিতার বিষয়ে বলেন, বিরোধীদলের নেতা অনেকগুলো কবিতা বলেছেন। সেজন্য তাকে আমি সাধুবাদ জানাই। শুধু একটি কবিতার ব্যাপারে আমি একটু কথা বলতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী হাসি মাথা কণ্ঠে বলেন, বিরোধীদলের নেতা কবিতা পাঠ করতে গিয়ে বলেছেন- ‘বুঝি গো আমি বুঝি গো এ ছলনা, কী তুমি বলিতে চাও আমি বুঝি না’। এটি বোধ হয় উনি (রওশন) ওনার বাম দিকে যিনি বসে আছেন (এরশাদ), তার দিকে তাকিয়ে বললে ভালো হতো। প্রথমে বুঝতে পারিনি উনি কাকে বলছেন। আমি ভাবলাম এরশাদ সাহেবকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন। আমি আশা করি, এরশাদ সাহেব ভবিষ্যতে আর কোনো ছলনা করবেন না।
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর সরকার ও বিরোধীদলের সংসদ সদস্যরা (এমপি) দীর্ঘ সময় হাসি ঠাট্টায় মেতে ওঠেন। এ সময় সরকারদলীয় সংসদ সদস্যরা দীর্ঘ সময় টেবিল চাপড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যে সমর্থন জানান। বিরোধীদলের সংসদ সদস্যরাও এ সময় হাসিতে মেতে উঠেন। এরশাদও এ সময় হাসি চেপে রাখতে পারেননি। হাসতে দেখা যায় রওশন এরশাদকেও।
এরশাদকে নিয়ে রাজনীতিবিদদের হাসি-ঠাট্টার নেই শেষ। তার ঘন-ঘন অবস্থান বদল, এখন সরকারের হয়ে কথা বলেন, আবার কিছু সময় পরে মত পরিবর্তন করেন। এই জন্য ইতোমধ্যে রাজনৈতিক মহলে সাবেক এই স্বৈরশাসকের নাম হয়েছে, ‘আনপ্রেডিক্টেবল পলিটিশিয়ান’ (যে রাজনীতিবিদ সম্পর্কে আগে থেকে ধারণা করা যায় না)।
এবার আবার এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ সংসদে একটি কবিতার লাইন পড়ে শোনান। রওশন এরশাদ বলেন, ‘বুঝি গো আমি বুঝি গো এ ছলনা, কী তুমি বলিতে চাও আমি বুঝি না।’
বুধবার (২৯ জুন) সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধীদলীয় নেতার এই কবিতার বিষয়ে বলেন, বিরোধীদলের নেতা অনেকগুলো কবিতা বলেছেন। সেজন্য তাকে আমি সাধুবাদ জানাই। শুধু একটি কবিতার ব্যাপারে আমি একটু কথা বলতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী হাসি মাথা কণ্ঠে বলেন, বিরোধীদলের নেতা কবিতা পাঠ করতে গিয়ে বলেছেন- ‘বুঝি গো আমি বুঝি গো এ ছলনা, কী তুমি বলিতে চাও আমি বুঝি না’। এটি বোধ হয় উনি (রওশন) ওনার বাম দিকে যিনি বসে আছেন (এরশাদ), তার দিকে তাকিয়ে বললে ভালো হতো। প্রথমে বুঝতে পারিনি উনি কাকে বলছেন। আমি ভাবলাম এরশাদ সাহেবকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন। আমি আশা করি, এরশাদ সাহেব ভবিষ্যতে আর কোনো ছলনা করবেন না।
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর সরকার ও বিরোধীদলের সংসদ সদস্যরা (এমপি) দীর্ঘ সময় হাসি ঠাট্টায় মেতে ওঠেন। এ সময় সরকারদলীয় সংসদ সদস্যরা দীর্ঘ সময় টেবিল চাপড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যে সমর্থন জানান। বিরোধীদলের সংসদ সদস্যরাও এ সময় হাসিতে মেতে উঠেন। এরশাদও এ সময় হাসি চেপে রাখতে পারেননি। হাসতে দেখা যায় রওশন এরশাদকেও।
এরশাদকে নিয়ে রাজনীতিবিদদের হাসি-ঠাট্টার নেই শেষ। তার ঘন-ঘন অবস্থান বদল, এখন সরকারের হয়ে কথা বলেন, আবার কিছু সময় পরে মত পরিবর্তন করেন। এই জন্য ইতোমধ্যে রাজনৈতিক মহলে সাবেক এই স্বৈরশাসকের নাম হয়েছে, ‘আনপ্রেডিক্টেবল পলিটিশিয়ান’ (যে রাজনীতিবিদ সম্পর্কে আগে থেকে ধারণা করা যায় না)।