দেশীয় প্রযুক্তি দিয়ে মাত্র কয়েকশ টাকা খরচ করে মশা তাড়ানোর একটি ইলেকট্রিক
যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন নওগাঁর যুবক এসএম ইব্রাহীম হোসেন রাজু। দীর্ঘ ৪
মাসের গবেষণায় তিনি সফলভাবে এই যন্ত্রটি আবিষ্কার করেন। যন্ত্রটির নাম
দিয়েছেন ‘রাজু মসকিউটো রিপেলার মেশিন’।
নওগাঁ শহরের দুবলহাটী রোডে হাট-নওগাঁ আলহাজ্ব ইদ্রিস আলী ইলেকট্রিক অ্যান্ড ওয়ার্কস নামে একটি প্রতিষ্ঠানে নিজস্ব তৈরি প্রযুক্তিতে ফেলনা জিনিসপত্র ব্যবহার করে যন্ত্রটি আবিষ্কার করছেন। মশা তাড়ানোর যন্ত্রটি বাজারজাতের জন্য ঢাকা ডিপার্টমেন্ট অফ প্যাটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রের্ড মার্কস থেকে গত বছর ১৭ ডিসেম্বর রেজিস্ট্রেশন করেছেন।
মশা নিধনে প্রযুক্তিতে কতো কিছু না তৈরি করা হচ্ছে তার ইয়ত্তা নেই। মশা নিধনে বাজারে বিভিন্ন নামে রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরি হচ্ছে কয়েল। বর্তমানে বাজারে রকেট, এক্সট্রা পাওয়ার, বোস্টার, লিজার্ড মেগা, বাংলা কিলার, এক্সট্রা পাওয়ার ব্ল্যাক, ফাইটার, নাইটগার্ড, নাইট এঙ্গেল, বস সুপার, ক্রস ফায়ার, এটাক কিং, পোলার মেগা, সোলার, এক্সট্রা পাওয়ার এবং গুড নাইট কয়েল ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে যে কয়েলই হোক না কেন সবই পরিবেশ এবং স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করেন তিনি।
তবে পরিবেশ এবং স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর নয় এমন একটি যন্ত্র গত ৪ মাসের গবেষণায় আবিষ্কার করেন এসএম ইব্রাহীম হোসেন রাজু। বাজারে পাওয়া যায় এমন কয়েকটি ছোট স্বল্প মূলের প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে যন্ত্রটিতে। এছাড়া অন্য কোনো উপাদান নেই। যন্ত্রটিতে মোবাইল ফোনের ব্যাটারি, পেন্সিল ও ঘড়ির রির্চাজেবল ব্যাটারি, একটি ছোট সার্কিট, শব্দ নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যান্ড পাইপ, টেপ, আঠা এবং ব্যাটারি চার্জের জন্য একটি চার্জার ব্যবহৃত হয়েছে।
ঘরের মধ্যে ব্যবহারের জন্য যন্ত্রটিতে একটি সাড়ে ৯ ভোল্টের মোটর এবং সাড়ে ৩ ভোল্টের ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়েছে। আর বাইরের পরিবেশের জন্য সাড়ে ৯ ভোল্টের মোটর এবং সাড়ে ৬ ভোল্টের ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়েছে। বিদ্যুৎ ছাড়াই ব্যাটারির সাহায্যে এটা প্রায় ৬/৮ ঘণ্টা চালানো সম্ভব।
একটি ঘরে যন্ত্রটি চালু করার পর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর কাজ শুরু হয়। ঘর যত বড় হবে সময় ততো বেশি লাগবে। তবে একটা যন্ত্র দিয়েই মশা তাড়ানো সম্ভব। যন্ত্রটি ঘরের দরজা-জানালা খোলা বা বন্ধ সব অবস্থাতেই সমানভাবে কার্যকর।
‘রাজু মসকিউটো রিপেলার মেশিনটি ব্যবহার করে সুবিধা পাওয়া নওগাঁ শহরের জয় টেলিকম অ্যান্ড সার্ভিস সেন্টারের মালিক ফারুক হোসেন জুয়েল, হাট-নওগাঁ মহল্লার প্রাক্তন ফুটবল খেলোয়ার আব্দুস ছাত্তার, একটি মোবাইল ফোন কোম্পানির সেলস ম্যানেজার হুমায়ন কবিরসহ অনেকে।
ফারুক হোসেন জুয়েল জানান, চারজনের পরিবারে আগে প্রতিদিন বাড়িতে গড়ে ৭ থেকে ১০ টাকার কয়েল পুড়িয়ে খরচ হতো। ‘রাজু মসকিউটো রিপেলার মেশিন’ আবিস্কারের পর পরীক্ষামূলক দুইদিনের জন্য ব্যবহার করতে দেন রাজু। ঘরের মধ্যে ব্যবহার করে ওই দুইদিন তার কোনো কয়েল ব্যবহার করতে হয়নি। এমনকি কোন মশারও কামড় খেতে হয়নি।
এছাড়া আব্দুস ছাত্তার বলেন, ঘরের মধ্যে মেশিনটি চালু করার ১০/১৫ মিনিট পর থেকে একটি মশাও দেখা যায়নি। মশারিও টাঙাতে হয়নি। আব্দুস ছাত্তার, সেলস ম্যানেজার হুমায়ন কবিরসহ যন্ত্রটি ব্যবহারকারীরা মনে করেন, যন্ত্রটি শতভাগ মশা তাড়ানোর কাজ করছে।
প্রস্তুতকারী এসএম ইব্রাহীম হোসেন রাজু বলেন, মশার শরীর পানি দিয়ে তৈরি। এই চিন্তা থেকেই এই যন্ত্রটি আবিষ্কার করা হয়েছে। এই যন্ত্রের মাধ্যমে আল্টা-সাউন্ড নামে শব্দ বা কম্পন (শোনা যাবে না) উৎপন্ন হবে। যন্ত্রটা ঘণ্টার পর ঘণ্টা চালু থাকলেও এর শব্দে মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর কোনো প্রভাব থাকবে না।
আর এই আল্টা-সাউন্ড নামে শব্দ বা কম্পনে মশার শরীরেও কম্পন তৈরি হবে। একটি নির্দিষ্ট জায়গা/এলাকা জুড়ে মশা না মরে পালিয়ে যাবে বা মশা থাকবে না। মশা তাড়ানোর জন্য যন্ত্রটিতে কোনো প্রকার রাসায়নিক উপাদান বা কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়নি। যন্ত্রটি পরিবেশ দূষিত হওয়ার মতো কোনো প্রকার দুর্গন্ধ ছড়ায় না।
তিনি আরও জানান, যন্ত্রটি কার্যকরী, বিভিন্ন আকারের, স্থানান্তরযোগ্য ও নিরাপদ। ঘরের বাইরে, গরুর গোয়ালে, বাগানে, খোলা জায়গায় ব্যবহার উপযোগী। স্বাভাবিকভাবে যন্ত্রটি বছরের পর বছর চলবে। তবে ব্যাটারির কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেলে এবং মোটরের ত্রুটি হলে পরিবর্তন করতে হবে।
প্রতিমাসে যন্ত্রটি একটি সাধারণ বৈদ্যুতিক বাল্বের চেয়েও কম বিদ্যুৎ খরচ হবে। বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১শ টাকা থেকে ৫শ টাকা। এটি বাণিজ্যিকভাবে চালু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বল্পমূল্যে বাজারজাত করা সম্ভব হবে।
শহরের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য এর আগে `বাড়ীর বুড়ি` নামে একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেন রাজু।
নওগাঁ শহরের দুবলহাটী রোডে হাট-নওগাঁ আলহাজ্ব ইদ্রিস আলী ইলেকট্রিক অ্যান্ড ওয়ার্কস নামে একটি প্রতিষ্ঠানে নিজস্ব তৈরি প্রযুক্তিতে ফেলনা জিনিসপত্র ব্যবহার করে যন্ত্রটি আবিষ্কার করছেন। মশা তাড়ানোর যন্ত্রটি বাজারজাতের জন্য ঢাকা ডিপার্টমেন্ট অফ প্যাটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রের্ড মার্কস থেকে গত বছর ১৭ ডিসেম্বর রেজিস্ট্রেশন করেছেন।
মশা নিধনে প্রযুক্তিতে কতো কিছু না তৈরি করা হচ্ছে তার ইয়ত্তা নেই। মশা নিধনে বাজারে বিভিন্ন নামে রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরি হচ্ছে কয়েল। বর্তমানে বাজারে রকেট, এক্সট্রা পাওয়ার, বোস্টার, লিজার্ড মেগা, বাংলা কিলার, এক্সট্রা পাওয়ার ব্ল্যাক, ফাইটার, নাইটগার্ড, নাইট এঙ্গেল, বস সুপার, ক্রস ফায়ার, এটাক কিং, পোলার মেগা, সোলার, এক্সট্রা পাওয়ার এবং গুড নাইট কয়েল ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে যে কয়েলই হোক না কেন সবই পরিবেশ এবং স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করেন তিনি।
তবে পরিবেশ এবং স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর নয় এমন একটি যন্ত্র গত ৪ মাসের গবেষণায় আবিষ্কার করেন এসএম ইব্রাহীম হোসেন রাজু। বাজারে পাওয়া যায় এমন কয়েকটি ছোট স্বল্প মূলের প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে যন্ত্রটিতে। এছাড়া অন্য কোনো উপাদান নেই। যন্ত্রটিতে মোবাইল ফোনের ব্যাটারি, পেন্সিল ও ঘড়ির রির্চাজেবল ব্যাটারি, একটি ছোট সার্কিট, শব্দ নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যান্ড পাইপ, টেপ, আঠা এবং ব্যাটারি চার্জের জন্য একটি চার্জার ব্যবহৃত হয়েছে।
ঘরের মধ্যে ব্যবহারের জন্য যন্ত্রটিতে একটি সাড়ে ৯ ভোল্টের মোটর এবং সাড়ে ৩ ভোল্টের ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়েছে। আর বাইরের পরিবেশের জন্য সাড়ে ৯ ভোল্টের মোটর এবং সাড়ে ৬ ভোল্টের ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়েছে। বিদ্যুৎ ছাড়াই ব্যাটারির সাহায্যে এটা প্রায় ৬/৮ ঘণ্টা চালানো সম্ভব।
একটি ঘরে যন্ত্রটি চালু করার পর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর কাজ শুরু হয়। ঘর যত বড় হবে সময় ততো বেশি লাগবে। তবে একটা যন্ত্র দিয়েই মশা তাড়ানো সম্ভব। যন্ত্রটি ঘরের দরজা-জানালা খোলা বা বন্ধ সব অবস্থাতেই সমানভাবে কার্যকর।
‘রাজু মসকিউটো রিপেলার মেশিনটি ব্যবহার করে সুবিধা পাওয়া নওগাঁ শহরের জয় টেলিকম অ্যান্ড সার্ভিস সেন্টারের মালিক ফারুক হোসেন জুয়েল, হাট-নওগাঁ মহল্লার প্রাক্তন ফুটবল খেলোয়ার আব্দুস ছাত্তার, একটি মোবাইল ফোন কোম্পানির সেলস ম্যানেজার হুমায়ন কবিরসহ অনেকে।
ফারুক হোসেন জুয়েল জানান, চারজনের পরিবারে আগে প্রতিদিন বাড়িতে গড়ে ৭ থেকে ১০ টাকার কয়েল পুড়িয়ে খরচ হতো। ‘রাজু মসকিউটো রিপেলার মেশিন’ আবিস্কারের পর পরীক্ষামূলক দুইদিনের জন্য ব্যবহার করতে দেন রাজু। ঘরের মধ্যে ব্যবহার করে ওই দুইদিন তার কোনো কয়েল ব্যবহার করতে হয়নি। এমনকি কোন মশারও কামড় খেতে হয়নি।
এছাড়া আব্দুস ছাত্তার বলেন, ঘরের মধ্যে মেশিনটি চালু করার ১০/১৫ মিনিট পর থেকে একটি মশাও দেখা যায়নি। মশারিও টাঙাতে হয়নি। আব্দুস ছাত্তার, সেলস ম্যানেজার হুমায়ন কবিরসহ যন্ত্রটি ব্যবহারকারীরা মনে করেন, যন্ত্রটি শতভাগ মশা তাড়ানোর কাজ করছে।
প্রস্তুতকারী এসএম ইব্রাহীম হোসেন রাজু বলেন, মশার শরীর পানি দিয়ে তৈরি। এই চিন্তা থেকেই এই যন্ত্রটি আবিষ্কার করা হয়েছে। এই যন্ত্রের মাধ্যমে আল্টা-সাউন্ড নামে শব্দ বা কম্পন (শোনা যাবে না) উৎপন্ন হবে। যন্ত্রটা ঘণ্টার পর ঘণ্টা চালু থাকলেও এর শব্দে মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর কোনো প্রভাব থাকবে না।
আর এই আল্টা-সাউন্ড নামে শব্দ বা কম্পনে মশার শরীরেও কম্পন তৈরি হবে। একটি নির্দিষ্ট জায়গা/এলাকা জুড়ে মশা না মরে পালিয়ে যাবে বা মশা থাকবে না। মশা তাড়ানোর জন্য যন্ত্রটিতে কোনো প্রকার রাসায়নিক উপাদান বা কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়নি। যন্ত্রটি পরিবেশ দূষিত হওয়ার মতো কোনো প্রকার দুর্গন্ধ ছড়ায় না।
তিনি আরও জানান, যন্ত্রটি কার্যকরী, বিভিন্ন আকারের, স্থানান্তরযোগ্য ও নিরাপদ। ঘরের বাইরে, গরুর গোয়ালে, বাগানে, খোলা জায়গায় ব্যবহার উপযোগী। স্বাভাবিকভাবে যন্ত্রটি বছরের পর বছর চলবে। তবে ব্যাটারির কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেলে এবং মোটরের ত্রুটি হলে পরিবর্তন করতে হবে।
প্রতিমাসে যন্ত্রটি একটি সাধারণ বৈদ্যুতিক বাল্বের চেয়েও কম বিদ্যুৎ খরচ হবে। বাজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১শ টাকা থেকে ৫শ টাকা। এটি বাণিজ্যিকভাবে চালু করে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বল্পমূল্যে বাজারজাত করা সম্ভব হবে।
শহরের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য এর আগে `বাড়ীর বুড়ি` নামে একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেন রাজু।
তারকার খ্যাতি যেমন আছে, বিড়ম্বনাও আছে। ইচ্ছে করলেই সাধারণের সঙ্গে মিশে
যাওয়ার সুযোগ হয় না। মাশরাফি, সাকিব তামিমরা বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষের
চোখের মনি। সিরিজ চললে ভক্তদের কাছ থেকে অনেক দূরে থাকতে হয় এই
ক্রিকেটারদের। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে সব ভুলে ঠিক আট-দশজনের একজন হয়ে
গেলেন মাশরাফি-তাসকিনরা। বিলাসবহুল হোটেলের বুফে রেখে সকালের নাস্তা করলেন
ফুটপাতের হোটেল।
আগের দিনের হারের ধাক্কা সামলে অন্যরকম সকাল শুরু করলেন টাইগার ক্রিকেটাররা। মাশরাফি তার দল নিয়ে চলে গেলেন খুলনার ছোট্ট সেই রেস্টুরেন্টে। এরপর ভক্তদের সঙ্গে আনন্দের সেই মুহূর্তের ছবিটাও ভাগাভাগি করে নিলেন তাসকিন আহমেদ।
এই পেসার তার ভেরিফাইড ফেসবুকে পেইজে ছবি দিয়ে। হ্যাশট্যাগসহ লিখলেন, ‘আর্লি মনিং ব্রেকফাস্ট আউটসাইড চিপা হোটেল।’ তার সঙ্গে দেখা গেল তামিম ইকবাল, নুরুল হাসান, মাশরাফিকে। সঙ্গে ক্রীড়া সাংবাদিক উৎপল শুভ্রকেও দেখা গেল।
আগের দিনের হারের ধাক্কা সামলে অন্যরকম সকাল শুরু করলেন টাইগার ক্রিকেটাররা। মাশরাফি তার দল নিয়ে চলে গেলেন খুলনার ছোট্ট সেই রেস্টুরেন্টে। এরপর ভক্তদের সঙ্গে আনন্দের সেই মুহূর্তের ছবিটাও ভাগাভাগি করে নিলেন তাসকিন আহমেদ।
এই পেসার তার ভেরিফাইড ফেসবুকে পেইজে ছবি দিয়ে। হ্যাশট্যাগসহ লিখলেন, ‘আর্লি মনিং ব্রেকফাস্ট আউটসাইড চিপা হোটেল।’ তার সঙ্গে দেখা গেল তামিম ইকবাল, নুরুল হাসান, মাশরাফিকে। সঙ্গে ক্রীড়া সাংবাদিক উৎপল শুভ্রকেও দেখা গেল।
সৌরজগতে পৃথিবীর চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি ভরের একটি সম্ভাব্য নতুন গ্রহের
সন্ধান পাওয়ার দাবি করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। গবেষকরা সম্ভাব্য ওই
গ্রহটির নাম দিয়েছেন ‘প্ল্যানেট নাইন’। খবর বিবিসি।
ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির বিজ্ঞানীর বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি জানায়, ওই গ্রহটি নেপচুন গ্রহ থেকে শত-শত কোটি মাইল দূরের একটি কক্ষপথে পরিভ্রমণ করছে।
মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানান, তারা খুব শক্তিশালী প্রমাণাদি পেয়েছেন যার দ্বারা বলা যায় যে এই সৌরজগতে একটি নবম গ্রহ রয়েছে। এবং বামন গ্রহ প্লুটো থেকেও এর অবস্থান অনেক অনেক দূরে।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বা ক্যালটেকের একটি গবেষক দল বলছেন, গ্রহটির অস্তিত্ব নিশ্চিত করার মতো কোন সরাসরি পর্যবেক্ষণ এখনো পর্যন্ত করা হয়নি।
এই গবেষণার একজন প্রধান বিজ্ঞানী, কনস্টানটিন বেটিজেন বলেন, এই গ্রহের অস্তিত্বের বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
তিনি বলেন, "গত ২০ বছরে সৌরজগতের বাইরে গ্রহের অনুসন্ধানে আমরা বেশ সফল হয়েছি। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে সাধারণ যে গ্রহগুলো রয়েছে সেগুলো আমাদের পাওয়া বস্তুর মতোই, যার ভর প্রায় ১০টি পৃথিবীর সমান।”
গবেষকদের হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে সূর্যের থেকে সবচেয়ে দূরে থাকা গ্রহ নেপচুনের চেয়েও ২০ গুণ দূরের কক্ষপথ দিয়ে চলাচল করছে নতুন এই গ্রহটি। সৌরজগতের অষ্টম গ্রহ নেপচুনের দূরত্বও সূর্য থেকে প্রায় সাড়ে চারশ কোটি কিলোমিটার।
সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহ প্রায় বৃত্তাকার পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করলেও, সম্ভাব্য এই গ্রহটি প্রদক্ষিণ করছে অনেক বেশি উপবৃত্তাকার পথে এবং সূর্যকে একবার পুরো প্রদক্ষিণ করতে এর সময় লাগে ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার বছর।
নতুন এই বস্তু বা গ্রহটি কোথায় হতে পারে সে সম্পর্কে ক্যালটেকের বিজ্ঞানীদের এখনো পর্যন্ত অস্পষ্ট একটি ধারণা রয়েছে। তবে এটি অনেকটা নিশ্চিত যে এখন ওই গ্রহটিকে খুঁজে বের করার জন্য নতুন করে চেষ্টা শুরু হবে।
ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির বিজ্ঞানীর বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি জানায়, ওই গ্রহটি নেপচুন গ্রহ থেকে শত-শত কোটি মাইল দূরের একটি কক্ষপথে পরিভ্রমণ করছে।
মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানান, তারা খুব শক্তিশালী প্রমাণাদি পেয়েছেন যার দ্বারা বলা যায় যে এই সৌরজগতে একটি নবম গ্রহ রয়েছে। এবং বামন গ্রহ প্লুটো থেকেও এর অবস্থান অনেক অনেক দূরে।
ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি বা ক্যালটেকের একটি গবেষক দল বলছেন, গ্রহটির অস্তিত্ব নিশ্চিত করার মতো কোন সরাসরি পর্যবেক্ষণ এখনো পর্যন্ত করা হয়নি।
এই গবেষণার একজন প্রধান বিজ্ঞানী, কনস্টানটিন বেটিজেন বলেন, এই গ্রহের অস্তিত্বের বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
তিনি বলেন, "গত ২০ বছরে সৌরজগতের বাইরে গ্রহের অনুসন্ধানে আমরা বেশ সফল হয়েছি। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে সাধারণ যে গ্রহগুলো রয়েছে সেগুলো আমাদের পাওয়া বস্তুর মতোই, যার ভর প্রায় ১০টি পৃথিবীর সমান।”
গবেষকদের হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে সূর্যের থেকে সবচেয়ে দূরে থাকা গ্রহ নেপচুনের চেয়েও ২০ গুণ দূরের কক্ষপথ দিয়ে চলাচল করছে নতুন এই গ্রহটি। সৌরজগতের অষ্টম গ্রহ নেপচুনের দূরত্বও সূর্য থেকে প্রায় সাড়ে চারশ কোটি কিলোমিটার।
সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহ প্রায় বৃত্তাকার পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করলেও, সম্ভাব্য এই গ্রহটি প্রদক্ষিণ করছে অনেক বেশি উপবৃত্তাকার পথে এবং সূর্যকে একবার পুরো প্রদক্ষিণ করতে এর সময় লাগে ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার বছর।
নতুন এই বস্তু বা গ্রহটি কোথায় হতে পারে সে সম্পর্কে ক্যালটেকের বিজ্ঞানীদের এখনো পর্যন্ত অস্পষ্ট একটি ধারণা রয়েছে। তবে এটি অনেকটা নিশ্চিত যে এখন ওই গ্রহটিকে খুঁজে বের করার জন্য নতুন করে চেষ্টা শুরু হবে।
দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয় চালুর নীতিগত
সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয়। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য শিগগিরই
বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। শিক্ষামন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন এবং শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত বিদ্যায় দক্ষ নাগরিক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয়। এজন্য গত ২৮ ডিসেম্বর শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের অধীন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয় চালুর নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য একটি পৃথক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। তবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয় চালুর ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের কোন অনুমতির প্রয়োজন হবে না।
সূত্র জানায়, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন এবং শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত বিদ্যায় দক্ষ নাগরিক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষামন্ত্রণালয়। এজন্য গত ২৮ ডিসেম্বর শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের অধীন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয় চালুর নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য একটি পৃথক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। তবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয় চালুর ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের কোন অনুমতির প্রয়োজন হবে না।
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ জাল রুপিসহ তিন জনকে আটক করেছে
র্যাব-২। এদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত পাকিস্তানি নাগরিক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন, মাহমুদ রেহমান (৫৭), মোজাম্মেল হক (৪০) ও ফারুক আহমেদ (২৬)। এদের মধ্যে মাহমুদ রেহমান বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত পাকিস্তানি নাগরিক। তার কাছ থেকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয় দেশের পাসপোর্ট পাওয়া গেছে।
র্যাব জানায়, আটকের সময় আসামিদের কাছ থেকে তিন লাখ জাল ভারতীয় রুপি, মার্কিন ডলার এবং ২৭ শ’ পাকিস্তানি রূপি জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের কাছে পাকিস্তানি জাতীয় পত্র ও পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
আটকরা হলেন, মাহমুদ রেহমান (৫৭), মোজাম্মেল হক (৪০) ও ফারুক আহমেদ (২৬)। এদের মধ্যে মাহমুদ রেহমান বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত পাকিস্তানি নাগরিক। তার কাছ থেকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয় দেশের পাসপোর্ট পাওয়া গেছে।
র্যাব জানায়, আটকের সময় আসামিদের কাছ থেকে তিন লাখ জাল ভারতীয় রুপি, মার্কিন ডলার এবং ২৭ শ’ পাকিস্তানি রূপি জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের কাছে পাকিস্তানি জাতীয় পত্র ও পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
ভালো ছবিতে চলচ্চিত্রের ইতিবাচক পরিবর্তনের অনেক প্রত্যাশা নিয়ে গেল বছরের
১৮ ডিসেম্বর ৪২টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’
চলচ্চিত্রটি। অজ্ঞাত কারণে মুক্তির মাত্র একদিন পরই দেশের প্রায় ৩৮টি
প্রেক্ষাগৃহ রিয়াজুল রিজুর পরিচালনায় নির্মিত চলচ্চিত্রটির প্রদর্শন বন্ধ
করে দেয়।
এতে করে সমালোচনার মুখে পড়েন হল মালিকরা। এবং কু-রাজনীতির কৌশলে ছবিটিকে হল থেকে নামিয়ে দেয়ার প্ররোচনার জন্য সন্দেহজনকভাবে সমালোচিত হয় স্বনামধ্য একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।
তবে পরিচালক হাল ছেড়ে দিতে রাজি নন। বহু কষ্ট আর মেধার বিনিময়ে বানানো ছবিটিকে তিনি দর্শকের কাছে পৌঁছে দিতে বদ্ধ পরিকর। তাই ছবিটির প্রযোজনা সংস্থা কারুকাজ ফিল্মসকে সঙ্গে নিয়ে এবার তিনি বিকল্প পথেই সারাদেশে ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন। আর সেটি শুরু হচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) থেকেই।
নির্মাতা রিয়াজুল রিজু জানান, আগামী ২২ও ২৩ জানুয়ারি থিয়েটার ইনন্সিটিউট চট্টগ্রাম, টিআইসি অডিটোরিয়ামে (কে সি দে রোড, নন্দন কানন, অন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম-৪০০০) এ চলচ্চিত্রটির বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। নির্ধারিত দিনে দর্শনীর বিনিময়ে প্রতিদিন সকাল ১০ টা, বেলা ৩ টা, বিকেল ৫টা এবং সন্ধ্যা ৭ টায় চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হবে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’ চলচ্চিত্রের বিশেষ প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকবে চলচ্চিত্রটির কলাকুশলীরা। একই ধারাবাহিকতায় চলচ্চিত্রটি সারাদেশের চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।
এতে করে সমালোচনার মুখে পড়েন হল মালিকরা। এবং কু-রাজনীতির কৌশলে ছবিটিকে হল থেকে নামিয়ে দেয়ার প্ররোচনার জন্য সন্দেহজনকভাবে সমালোচিত হয় স্বনামধ্য একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।
তবে পরিচালক হাল ছেড়ে দিতে রাজি নন। বহু কষ্ট আর মেধার বিনিময়ে বানানো ছবিটিকে তিনি দর্শকের কাছে পৌঁছে দিতে বদ্ধ পরিকর। তাই ছবিটির প্রযোজনা সংস্থা কারুকাজ ফিল্মসকে সঙ্গে নিয়ে এবার তিনি বিকল্প পথেই সারাদেশে ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন। আর সেটি শুরু হচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) থেকেই।
নির্মাতা রিয়াজুল রিজু জানান, আগামী ২২ও ২৩ জানুয়ারি থিয়েটার ইনন্সিটিউট চট্টগ্রাম, টিআইসি অডিটোরিয়ামে (কে সি দে রোড, নন্দন কানন, অন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম-৪০০০) এ চলচ্চিত্রটির বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। নির্ধারিত দিনে দর্শনীর বিনিময়ে প্রতিদিন সকাল ১০ টা, বেলা ৩ টা, বিকেল ৫টা এবং সন্ধ্যা ৭ টায় চলচ্চিত্রটি প্রদর্শিত হবে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’ চলচ্চিত্রের বিশেষ প্রদর্শনীতে উপস্থিত থাকবে চলচ্চিত্রটির কলাকুশলীরা। একই ধারাবাহিকতায় চলচ্চিত্রটি সারাদেশের চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নাগরিক সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা ও
জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ২৭ জানুয়ারি এক গণশুনানির আয়োজন করেছে দুর্নীতি দমন
কমিশন (দুদক)। ওইদিন, রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সকাল ১০টা থেকে
গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
ইতোমধ্যে এ শুনানির প্রচারণা শুরু হয়েছে। বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে নগরব্যাপী প্রচারণার উদ্বোধন করেন দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, দুদক দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে দেশব্যাপী গণশুনানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জনগণ নাগরিক সনদ অনুযায়ী সেবা পাচ্ছে কি না তা যাচাই করতে এ আয়োজন। এ উদ্দেশেই আগামী ২৭ জানুয়ারি সকাল ১০টায় ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে গণশুনানি হবে। এতে রাজউকের কার্যক্রম সংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর সুযোগ রয়েছে। সমস্যা নিরসন করে ভুক্তভোগীরা যাতে উন্নত সেবা পান সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করা হবে বলে তিনি জানান।
দুদক কমিশনার আরো বলেন, ছাড়পত্র বা নকশা অনুমোদনে হয়রানির শিকার হলে, ক্রয়সূত্রে বা উত্তরাধিকার সূত্রে মালিকানা হস্তান্তর বা নামজারির ক্ষেত্রে হয়রানি বা কোনো ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি বা ভোগান্তির শিকার যারা হয়েছেন এবার তারা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও রাজউক চেয়ারম্যানের সামনেই কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন।
ইতোমধ্যে এ শুনানির প্রচারণা শুরু হয়েছে। বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে নগরব্যাপী প্রচারণার উদ্বোধন করেন দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, দুদক দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে দেশব্যাপী গণশুনানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জনগণ নাগরিক সনদ অনুযায়ী সেবা পাচ্ছে কি না তা যাচাই করতে এ আয়োজন। এ উদ্দেশেই আগামী ২৭ জানুয়ারি সকাল ১০টায় ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে গণশুনানি হবে। এতে রাজউকের কার্যক্রম সংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর সুযোগ রয়েছে। সমস্যা নিরসন করে ভুক্তভোগীরা যাতে উন্নত সেবা পান সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করা হবে বলে তিনি জানান।
দুদক কমিশনার আরো বলেন, ছাড়পত্র বা নকশা অনুমোদনে হয়রানির শিকার হলে, ক্রয়সূত্রে বা উত্তরাধিকার সূত্রে মালিকানা হস্তান্তর বা নামজারির ক্ষেত্রে হয়রানি বা কোনো ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি বা ভোগান্তির শিকার যারা হয়েছেন এবার তারা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ও রাজউক চেয়ারম্যানের সামনেই কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা একদিনের সফরে সিলেট
পৌঁছেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে তিনি হেলিকপ্টারযোগে সিলেট
এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। এর আগে সকাল ১০টা ৫০
মিনিটে ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন
প্রধানমন্ত্রী।
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী, সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ।
এর পরপরই প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
এখানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সাবেক সাংসদ সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সাংগঠনিক সম্পাদক এটিএম হাসান জেবুল, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী আসমা কামরান, মিনা চৌধুরী, নাজমিন হোসেন, শামসুন নাহার মিনু প্রমুখ।
হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার জিয়ারত শেষে প্রধানমন্ত্রী হযরত শাহপরান (রহ.) মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
এই মাজার জিয়ারত শেষে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নগরের মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্লাটিনাম জুবিলি উৎসবে যোগ দেবেন।
ওই অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী সিলেট সার্কিট হাউসে বিশ্রাম ও মধ্যাহৃভোজ শেষে বিকেল ৩টায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষন দেবেন। আলিয়া মাদ্রাসার জনসভা শেষে তিনি সরাসরি ওসমানি বিমানবন্দর হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে সিলেট ত্যাগ করবেন বলে প্রধানমন্ত্রী সফরসূচি সূত্রে জানা গেছে।
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী, সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ।
এর পরপরই প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
এখানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, সাবেক সাংসদ সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সাংগঠনিক সম্পাদক এটিএম হাসান জেবুল, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী আসমা কামরান, মিনা চৌধুরী, নাজমিন হোসেন, শামসুন নাহার মিনু প্রমুখ।
হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার জিয়ারত শেষে প্রধানমন্ত্রী হযরত শাহপরান (রহ.) মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।
এই মাজার জিয়ারত শেষে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নগরের মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্লাটিনাম জুবিলি উৎসবে যোগ দেবেন।
ওই অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী সিলেট সার্কিট হাউসে বিশ্রাম ও মধ্যাহৃভোজ শেষে বিকেল ৩টায় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষন দেবেন। আলিয়া মাদ্রাসার জনসভা শেষে তিনি সরাসরি ওসমানি বিমানবন্দর হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে সিলেট ত্যাগ করবেন বলে প্রধানমন্ত্রী সফরসূচি সূত্রে জানা গেছে।
আর যেন কোনো মেয়েকে বাল্যবিয়ের শিকার হতে না হয় এবং তারা যেন কয়েক
কিলোমিটার দূর থেকেও স্কুলে আসতে পারে তার জন্য এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
নিয়েছেন ভায়না শহীদ মোশারফ-দলিল উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা
কমিটি। ১৭ জন শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেয়া হয়েছে ১৭টি সাইকেল।
ভায়না শহীদ মোশারফ-দলিল উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে ৬২৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। যার মধ্যে ৬০ শতাংশ মেয়ে। বিদ্যালয়টি ঝিনাইদহ শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার আর উপজেলা শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে পাড়াগাঁয়ে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি পাড়াগাঁয়ে হলেও পড়ালেখার মান খুবই ভালো। গত এসএসসি পরীক্ষায় ১০৯ জন অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে। ৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৫ সালে ওই প্রতিষ্ঠানের ১৪টি মেয়ের পথের কষ্ট দূর করতে বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়ে দিয়েছেন তাদের পরিবার। প্রতি বছরই ১২ থেকে ১৫টি মেয়েকে অল্প বয়সে বিয়ে দেন তাদের অভিভাবকরা। তাদের বক্তব্য মেয়েকে এতো দূরের স্কুলে পাঠিয়ে লেখাপড়া করানো সম্ভব নয়। পায়ে হেঁটে ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরের স্কুলে যাওয়া তাদের জন্য খুবই কষ্টকর। মাঝে মধ্যেই বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ে অনেক মেয়ে।
শিক্ষার্থী শিখা খাতুন বলেন, তার বাবার পক্ষে একটা সাইকেল কিনে দেয়ার সমর্থ নেই। কষ্ট করেই তাকে আসতে হতো। বেশি দিন হয়তো আসা হতো না বিয়ের আয়োজন করা হতো। সাইকেল পেয়ে সেই চিন্তা দূর হয়েছে। আশা জেগেছে বাকি পড়ালেখা শেষ করতে পারবে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ঝিনাইদহ পৌর মেয়র সাইদুল করিম বলেন, পাড়াগাঁয়ের স্কুল হওয়ায় মেয়েরা অল্প বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসবে এটা হতে পারে না। তাই তিনি এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন।
ভায়না শহীদ মোশারফ-দলিল উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে ৬২৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। যার মধ্যে ৬০ শতাংশ মেয়ে। বিদ্যালয়টি ঝিনাইদহ শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার আর উপজেলা শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে পাড়াগাঁয়ে অবস্থিত। প্রতিষ্ঠানটি পাড়াগাঁয়ে হলেও পড়ালেখার মান খুবই ভালো। গত এসএসসি পরীক্ষায় ১০৯ জন অংশ নিয়ে সবাই পাস করেছে। ৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৫ সালে ওই প্রতিষ্ঠানের ১৪টি মেয়ের পথের কষ্ট দূর করতে বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়ে দিয়েছেন তাদের পরিবার। প্রতি বছরই ১২ থেকে ১৫টি মেয়েকে অল্প বয়সে বিয়ে দেন তাদের অভিভাবকরা। তাদের বক্তব্য মেয়েকে এতো দূরের স্কুলে পাঠিয়ে লেখাপড়া করানো সম্ভব নয়। পায়ে হেঁটে ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরের স্কুলে যাওয়া তাদের জন্য খুবই কষ্টকর। মাঝে মধ্যেই বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ে অনেক মেয়ে।
শিক্ষার্থী শিখা খাতুন বলেন, তার বাবার পক্ষে একটা সাইকেল কিনে দেয়ার সমর্থ নেই। কষ্ট করেই তাকে আসতে হতো। বেশি দিন হয়তো আসা হতো না বিয়ের আয়োজন করা হতো। সাইকেল পেয়ে সেই চিন্তা দূর হয়েছে। আশা জেগেছে বাকি পড়ালেখা শেষ করতে পারবে।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ঝিনাইদহ পৌর মেয়র সাইদুল করিম বলেন, পাড়াগাঁয়ের স্কুল হওয়ায় মেয়েরা অল্প বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসবে এটা হতে পারে না। তাই তিনি এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, আন্তঃবাণিজ্যের সুযোগ-সুবিধাগুলো যদি
যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারি তাহলে রফতানি কয়েকগুণ বেড়ে যাবে, এর ফলে আয়ও
বাড়বে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ‘দক্ষিণ এশিয়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তা সম্মেলন-২০১৬’ উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন। সাউথ এশিয়ান কান্ট্রিজ এসএমই ফোরাম এবং জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ (নাসিব) এর যৌথ উদ্যোগে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আমির হোসেন আমু বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক অর্থনীতিতে এসএমই একটি উদীয়মান শিল্পখাত। এ অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন এবং রফতানি আয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে।
মন্ত্রী বলেন, এটি একটি শ্রমঘন খাত। দক্ষ কারিগর, পণ্য বৈচিত্র্যকরণ, মূল্য সংযোজন এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতির ফলে এশিয়ায় এসএমই পণ্য গুণগতমান ও মূল্যের বিচারে বিশ্ব বাজারের প্রতিযোগিতায় দাপটের সঙ্গে টিকে থাকার যোগ্যতা অর্জন করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকেই নারী। আঞ্চলিক অর্থনীতি জোরদারে এসএমই খাতে কর্মরত নারী জনগোষ্ঠির ভূমিকা উল্লেখ করার মতো।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, এশিয়ার দেশগুলোর ব্যবসা বাণিজ্য ও শিল্পান্নয়নে নারীদের অংশগ্রহণ ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। এসএমই খাতের নারীদের সংশ্লিষ্টতা আঞ্চলিক অর্থনীতিতে গুণগত পরিবর্তনও এনেছে। ইতোমধ্যে আমরা জাতিসংঘ ঘোষিত সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছি। এখন আমরা টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে এগিয়ে চলেছি।
লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এসএসই খাতকে আরো সুসংহত ও নারী বান্ধব করা জরুরি বলেও উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগ ও অংশগ্রহণ টেকসই এসএমই খাত গতে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
দক্ষিণ এশিয়া ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মানুষের বিশাল বাজার। এককভাবে পৃথিবীর অন্য কোনো অঞ্চলে এতো মানুষের বসতি নেই। পৃথিবীর উচ্চ প্রবৃদ্ধির অর্থনীতির মধ্যে এ অঞ্চল অন্যতম। অথচ এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃবাণিজ্যের পরিমাণ মোট রফতানি আয়ের মাত্র ৫ ভাগ।
অনুষ্ঠানে সাউথ এশিয়ান কান্ট্রিজ এসএমই ফোরামের প্রেসিডেন্ট মির্জা নুরুল গণি শোভনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, শিল্প সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এনডিসি, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্য সচিব রাজিবা সিংহা, এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম, নাসিব উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। এছাড়া সাউথ এশিয়ান কান্ট্রিজ এসএমই ফোরামের নেতারা, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও শিল্প উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ‘দক্ষিণ এশিয়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তা সম্মেলন-২০১৬’ উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন। সাউথ এশিয়ান কান্ট্রিজ এসএমই ফোরাম এবং জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ (নাসিব) এর যৌথ উদ্যোগে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আমির হোসেন আমু বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক অর্থনীতিতে এসএমই একটি উদীয়মান শিল্পখাত। এ অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, নারীর ক্ষমতায়ন এবং রফতানি আয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে।
মন্ত্রী বলেন, এটি একটি শ্রমঘন খাত। দক্ষ কারিগর, পণ্য বৈচিত্র্যকরণ, মূল্য সংযোজন এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতির ফলে এশিয়ায় এসএমই পণ্য গুণগতমান ও মূল্যের বিচারে বিশ্ব বাজারের প্রতিযোগিতায় দাপটের সঙ্গে টিকে থাকার যোগ্যতা অর্জন করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকেই নারী। আঞ্চলিক অর্থনীতি জোরদারে এসএমই খাতে কর্মরত নারী জনগোষ্ঠির ভূমিকা উল্লেখ করার মতো।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, এশিয়ার দেশগুলোর ব্যবসা বাণিজ্য ও শিল্পান্নয়নে নারীদের অংশগ্রহণ ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। এসএমই খাতের নারীদের সংশ্লিষ্টতা আঞ্চলিক অর্থনীতিতে গুণগত পরিবর্তনও এনেছে। ইতোমধ্যে আমরা জাতিসংঘ ঘোষিত সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছি। এখন আমরা টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে এগিয়ে চলেছি।
লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এসএসই খাতকে আরো সুসংহত ও নারী বান্ধব করা জরুরি বলেও উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগ ও অংশগ্রহণ টেকসই এসএমই খাত গতে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
দক্ষিণ এশিয়া ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মানুষের বিশাল বাজার। এককভাবে পৃথিবীর অন্য কোনো অঞ্চলে এতো মানুষের বসতি নেই। পৃথিবীর উচ্চ প্রবৃদ্ধির অর্থনীতির মধ্যে এ অঞ্চল অন্যতম। অথচ এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃবাণিজ্যের পরিমাণ মোট রফতানি আয়ের মাত্র ৫ ভাগ।
অনুষ্ঠানে সাউথ এশিয়ান কান্ট্রিজ এসএমই ফোরামের প্রেসিডেন্ট মির্জা নুরুল গণি শোভনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, শিল্প সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এনডিসি, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্য সচিব রাজিবা সিংহা, এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম, নাসিব উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। এছাড়া সাউথ এশিয়ান কান্ট্রিজ এসএমই ফোরামের নেতারা, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও শিল্প উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রংপুর মহানগর জাপার সদস্য সচিব এস এম ইয়াসীরের উপর হামলার ঘটনায় জাতীয়
পার্টির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কমিয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত করা হয়েছে।
হরতালে রংপুরবাসীর সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সর্বাত্মক হরতাল সফল হওয়ায় পার্টির
চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের নির্দেশে সন্ধ্যার পরিবর্তে দুপুর ২ টায় হরতাল
কর্মসূচি শেষ করার ঘোষণা দেয়া হয়।
মহানগর জাপার আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা হরতাল শিথিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মহানগর জাপার আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা হরতাল শিথিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত দুই শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজনকে নৃশংসভাবে হত্যার
ঘটনাস্থল আবারও পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদউদ্দিন। বুধবার
রাতে শহরের বাবুরাইলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান পুলিশ সুপার।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোখলেছুর রহমান, সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক, তদন্তকারী সংস্থা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) এম এ খায়েরসহ অন্যরা।
এদিকে পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আলামত জব্দ করে। আলামতগুলো মামলার তদন্তে অগ্রগতি হবে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, এটি একটি জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। আমরা নিরবিচ্ছিন্ন তদন্ত করছি। এজন্য আমরা রাত দিন প্রতি মুহূর্ত কাজ করছি। তদন্তের স্বার্থেই আমাদের এখানে একাধিকবার আসতে হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে এখানে আসা হয়েছে। কারণ, তদন্তের অনেক বিষয় একটির সঙ্গে অপরটি সম্পর্কিত থাকে সেগুলোকে জোড়া দিতে হয়।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া ঘটনার কারণ ও সময়গত অবস্থানের বিষয়টিও নিশ্চিত হতে হয়। এজন্য আমাদের বারবার আসতে হচ্ছে। তবে আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি তদন্তে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব রহস্যের উন্মোচন হবে।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোখলেছুর রহমান, সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক, তদন্তকারী সংস্থা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) এম এ খায়েরসহ অন্যরা।
এদিকে পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আলামত জব্দ করে। আলামতগুলো মামলার তদন্তে অগ্রগতি হবে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, এটি একটি জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। আমরা নিরবিচ্ছিন্ন তদন্ত করছি। এজন্য আমরা রাত দিন প্রতি মুহূর্ত কাজ করছি। তদন্তের স্বার্থেই আমাদের এখানে একাধিকবার আসতে হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে এখানে আসা হয়েছে। কারণ, তদন্তের অনেক বিষয় একটির সঙ্গে অপরটি সম্পর্কিত থাকে সেগুলোকে জোড়া দিতে হয়।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া ঘটনার কারণ ও সময়গত অবস্থানের বিষয়টিও নিশ্চিত হতে হয়। এজন্য আমাদের বারবার আসতে হচ্ছে। তবে আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি তদন্তে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব রহস্যের উন্মোচন হবে।
গাজীপুরের কালীগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ে সড়কের বড়নগর নামক স্থানে
ট্রেনের ধাক্কায় একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা খাদে পড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার
সকাল ৮টার দিকে ঢাকাগামী সিলেট মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা
ঘটে।
দুর্ঘটনায় সিএনজি চালকসহ তিনজন আহত হয়েছেন। আহতের মধ্যে সিএনজি চালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে জরুরিভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে তার বয়স হবে আনুমানিক ২৮ বছর। বাড়ি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার নেহাব এলাকায় বলে জানা গেছে।
আহতরা হলেন, উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের বেতুয়া গ্রামের রাজন চন্দ্র দাসের স্ত্রী লিপি রাণী দাস (২৪) ও তার ভাগ্নি কালীগঞ্জ পৌর এলাকার মুনশুরপুর গ্রামের শ্রীধামের মেয়ে মিথিলা (৭)।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকালে নরসিংদীর পলাশ এলাকার ভাটপাড়ার বাবার বাড়ি থেকে সিএনজিযোগে লিপি তার স্বামীর বাড়ি বেতুয়া গ্রামে যাচ্ছিলেন। এসময় কালীগঞ্জ-টঙ্গী-ঘোড়াশাল বাইপাস সড়ক সংলগ্ন কালীগঞ্জ পৌর এলাকার বড়নগর রেল ক্রসিং এ ঢাকাগামী ওই ট্রেনের সঙ্গে সিএনজির ধাক্কা লাগে। ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজিটি ধুমরে মুচরে রেলের পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ওই সিএনজির চালকসহ দুই যাত্রী আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু মিথিলাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন। আর চালক ও লিপির অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাদের ঢামেকে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জেসমিন আরা জানান, সিএনজি চালকের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে। এতে তার ডান পা ভেঙে গেছে এবং নাক-মুখ দিয়ে রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয়রা জানান, বড়নগর রেল ক্রসিংয়ে কয়েকদিন পর পর এ ধরনের রেল দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ ওই রেল ক্রসিংয়ে কোনো ব্যারিগেট না দেয়ায় অনেকের অকালেই মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অনেককে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে। তাই এলাকাবাসীর দাবি রেল কর্তৃপক্ষ যেন অবিলম্বে ওই এলাকায় রেল ব্যারিগেট স্থাপন করে।
দুর্ঘটনায় সিএনজি চালকসহ তিনজন আহত হয়েছেন। আহতের মধ্যে সিএনজি চালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে জরুরিভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে তার বয়স হবে আনুমানিক ২৮ বছর। বাড়ি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার নেহাব এলাকায় বলে জানা গেছে।
আহতরা হলেন, উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের বেতুয়া গ্রামের রাজন চন্দ্র দাসের স্ত্রী লিপি রাণী দাস (২৪) ও তার ভাগ্নি কালীগঞ্জ পৌর এলাকার মুনশুরপুর গ্রামের শ্রীধামের মেয়ে মিথিলা (৭)।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকালে নরসিংদীর পলাশ এলাকার ভাটপাড়ার বাবার বাড়ি থেকে সিএনজিযোগে লিপি তার স্বামীর বাড়ি বেতুয়া গ্রামে যাচ্ছিলেন। এসময় কালীগঞ্জ-টঙ্গী-ঘোড়াশাল বাইপাস সড়ক সংলগ্ন কালীগঞ্জ পৌর এলাকার বড়নগর রেল ক্রসিং এ ঢাকাগামী ওই ট্রেনের সঙ্গে সিএনজির ধাক্কা লাগে। ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজিটি ধুমরে মুচরে রেলের পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ওই সিএনজির চালকসহ দুই যাত্রী আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু মিথিলাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন। আর চালক ও লিপির অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাদের ঢামেকে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জেসমিন আরা জানান, সিএনজি চালকের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে। এতে তার ডান পা ভেঙে গেছে এবং নাক-মুখ দিয়ে রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয়রা জানান, বড়নগর রেল ক্রসিংয়ে কয়েকদিন পর পর এ ধরনের রেল দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ ওই রেল ক্রসিংয়ে কোনো ব্যারিগেট না দেয়ায় অনেকের অকালেই মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া অনেককে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে। তাই এলাকাবাসীর দাবি রেল কর্তৃপক্ষ যেন অবিলম্বে ওই এলাকায় রেল ব্যারিগেট স্থাপন করে।
বাংলাদেশে আসার সময় ব্যক্তি পর্যায়ে স্বর্ণ বা রূপার অলঙ্কার ও বার আনার
নির্দেশনায় পরিবর্তন আনলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে ‘ব্যাগেজ রুলস’
অনুযায়ীই কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশে আসার সময় সর্বোচ্চ ২০০ গ্রাম স্বর্ণ বা
রূপার অলঙ্কার ও বার আনতে পারবেন।
এর আগে ‘ব্যাগেজ রুলস’ এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ আদেশে সর্বোচ্চ দুই কেজি স্বর্ণ বা রূপার বার আনা যেতো। ১৯৯৬ সালের ১৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক ওই বিশেষ আদেশ জারি করে।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ নতুন নিয়মের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে ১৯৯৬ সালের ওই আদেশ বাতিলও করা হয়েছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশে আগত একজন যাত্রী করমুক্ত অবস্থায় ১০০ গ্রাম স্বর্ণ বা রূপার অলঙ্কার আনতে পারবেন। ১০০ গ্রামের বেশি আনতে কর লাগবে; তবে ২০০ গ্রামের বেশি আনতে পারবেন না।
স্বর্ণ বা রূপার বার আনলে ১০০ গ্রামেও কর দিতে হবে; ২০০ গ্রামের বেশি আনা যাবে না। প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণে তিন হাজার টাকা কর নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন আইনে কোনো ব্যক্তি নির্ধারিত সীমার বেশি স্বর্ণ বা রূপা আনলে তা অবৈধ হবে। তবে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে যেকোনো পরিমাণ স্বর্ণ বা রূপা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে আমদানি করা যাবে।
এর আগে ‘ব্যাগেজ রুলস’ এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ আদেশে সর্বোচ্চ দুই কেজি স্বর্ণ বা রূপার বার আনা যেতো। ১৯৯৬ সালের ১৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক ওই বিশেষ আদেশ জারি করে।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ নতুন নিয়মের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে ১৯৯৬ সালের ওই আদেশ বাতিলও করা হয়েছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশে আগত একজন যাত্রী করমুক্ত অবস্থায় ১০০ গ্রাম স্বর্ণ বা রূপার অলঙ্কার আনতে পারবেন। ১০০ গ্রামের বেশি আনতে কর লাগবে; তবে ২০০ গ্রামের বেশি আনতে পারবেন না।
স্বর্ণ বা রূপার বার আনলে ১০০ গ্রামেও কর দিতে হবে; ২০০ গ্রামের বেশি আনা যাবে না। প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণে তিন হাজার টাকা কর নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন আইনে কোনো ব্যক্তি নির্ধারিত সীমার বেশি স্বর্ণ বা রূপা আনলে তা অবৈধ হবে। তবে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে যেকোনো পরিমাণ স্বর্ণ বা রূপা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে আমদানি করা যাবে।
ইনজুরির কারণে ছিলেননা দলের নাম্বার ওয়ান তারকা লিওনেল মেসি আর নিষেধাজ্ঞার
কারণে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লুইস সুয়ারেজ। তবে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে খুব বেশি
বেগ পেতে হয়নি স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সাকে। স্প্যানিশ কাপের প্রথম লেগে
মুনির এল হাদ্দাদি আর নেইমারের গোলে অ্যাটলেটিকো বিলবাওকে ২-১ গোলে হারিয়ে
সেমিফাইনালে ওঠার পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছে বার্সেলোনা।
বুধবার রাতে অ্যাটলেটিকোর মাঠ সান মামেসে মেসি-সুয়ারেস না থাকায় বার্সেলোনার আক্রমণের মূল দায়িত্ব ছিল তাই নেইমারের কাঁধে। দায়িত্বটা ভালোমতোই পালন করেন ব্রাজিল অধিনায়ক। ম্যাচের ১৫ মিনিটে নেইমারের উচিয়ে মারা শট লাফিয়ে ফিস্ট করে কর্নারের বিনিমযে ঠেকান গোলরক্ষক। আর ১৮ মিনিটে ডান দিক থেকে রাকিতিচের দারুণ ক্রসে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন মুনির।
ম্যাচের ২৪ মিনিটে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের ভুলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার। লাপোর্তের ভুলে বল চলে যায় তার কাছে। গোলরক্ষক এররেরিন এগিয়ে এসেও বল বিপদমুক্ত করতে না পারায় গোলপোস্ট হয়ে পরে অরক্ষিত। ফাঁকা জালে কেবল বলটা পাঠাতে হয় নেইমারকে। বাকি সময় গোল না হলে ২-০ তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বার্সা।
বিরতি থেকে ফিরে দুই দলের খেলোয়াড়দের ফাউলে খেলার সৌন্দর্য নষ্ট হয়। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে আদুরিস গোল করে স্বাগতিক শিবিরে খানিকটা আশা জাগান। যোগ করা সময়ে সমতায় ফেরার সহজ সুযোগ নষ্ট করে অ্যাটলেটিকো। সাবিনের শট কোনোমতে ফিস্ট করে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান বার্সেলোনার গোলরক্ষক। বাকি সময় আর গোল না হলে ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে এনরিকের শিষ্যরা।
বুধবার রাতে অ্যাটলেটিকোর মাঠ সান মামেসে মেসি-সুয়ারেস না থাকায় বার্সেলোনার আক্রমণের মূল দায়িত্ব ছিল তাই নেইমারের কাঁধে। দায়িত্বটা ভালোমতোই পালন করেন ব্রাজিল অধিনায়ক। ম্যাচের ১৫ মিনিটে নেইমারের উচিয়ে মারা শট লাফিয়ে ফিস্ট করে কর্নারের বিনিমযে ঠেকান গোলরক্ষক। আর ১৮ মিনিটে ডান দিক থেকে রাকিতিচের দারুণ ক্রসে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন মুনির।
ম্যাচের ২৪ মিনিটে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের ভুলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমার। লাপোর্তের ভুলে বল চলে যায় তার কাছে। গোলরক্ষক এররেরিন এগিয়ে এসেও বল বিপদমুক্ত করতে না পারায় গোলপোস্ট হয়ে পরে অরক্ষিত। ফাঁকা জালে কেবল বলটা পাঠাতে হয় নেইমারকে। বাকি সময় গোল না হলে ২-০ তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বার্সা।
বিরতি থেকে ফিরে দুই দলের খেলোয়াড়দের ফাউলে খেলার সৌন্দর্য নষ্ট হয়। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে আদুরিস গোল করে স্বাগতিক শিবিরে খানিকটা আশা জাগান। যোগ করা সময়ে সমতায় ফেরার সহজ সুযোগ নষ্ট করে অ্যাটলেটিকো। সাবিনের শট কোনোমতে ফিস্ট করে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান বার্সেলোনার গোলরক্ষক। বাকি সময় আর গোল না হলে ২-১ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে এনরিকের শিষ্যরা।
বার্সেলোনা ছেড়ে ম্যানচেস্টার সিটি বা প্যারিস সেন্ট জার্মেইন চলে যাচ্ছেন
বলে প্রচারিত গুজব প্রত্যাখ্যান করে আর্জেন্টাইন সুপার স্টার লিওনেল মেসি
পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন যে, বার্সেলোনা ছেড়ে ইউরোপের অন্য কোন ক্লাবে
তিনি খেলবেন না।
সিটি মেসিকে পেতে তৎপরতা চালাচ্ছে বলে রিপোর্ট বেড়িয়েছিল। মেসিকে চুক্তিবদ্ধ করতে ওই দৌঁড়ে প্যারিস সেন্ট জার্মেইনও (পিএসজি) সামিল হয়েছে বলে গুজব ওঠে। তবে ২৮ বছর বয়সী ওই তারকা ফুটবলার বলেন যে, ইউরোপের ক্যারিয়ারের অবসর ঘটাবেন বার্সাতেই। ৫ বারের বিশ্বসেরার খেতাব জয়ী মেসি ফ্রান্স ফুটবলকে বলেন, আমি সব সময় বলে আসছি যে, বার্সেলোনাই হচ্ছে আমার ঠিকানা। এই ক্লাব থেকেই আমি অবসরে যেতে চাই। ইউরোপের ক্যারিয়ারে আমি কখনো অন্য কোন ক্লাবে খেলবো না।
তবে এর বাইরে আমি আর্জেন্টিনায় খেলতে চাই। কারণ, আমি যখন খুবই ছোট ছিলাম তখনই দেশ ছেড়ে এসেছি। তাই আমি দেখতে চাই আর্জেন্টিনায় খেলতে কেমন লাগে। ফুটবলে যে কোন কিছুই ঘটতে পারে। তবে আমার চাওয়া নিয়ে কোন ধরনের সন্দেহের অবকাশ নেই। আর আমি চাই বার্সেলোনায় থাকতে।
ইনজুরির কারণে দুই মাস মাঠের বাইরে কাটানোর পরও মেসি হচ্ছে বর্তমান বার্সেলোনার প্রাণভোমরা। চলতি মৌসুমে তিনি ক্লাবের হয়ে ২৩ ম্যাচে অংশ নিয়ে এখনো পর্যন্ত আদায় করেছেন ১৯টি গোল। আগামী ২০১৮ সাল পর্যন্ত ন্যু ক্যাম্পে থাকার চুক্তি রয়েছে এই ফুটবল সুপারস্টারের।
সিটি মেসিকে পেতে তৎপরতা চালাচ্ছে বলে রিপোর্ট বেড়িয়েছিল। মেসিকে চুক্তিবদ্ধ করতে ওই দৌঁড়ে প্যারিস সেন্ট জার্মেইনও (পিএসজি) সামিল হয়েছে বলে গুজব ওঠে। তবে ২৮ বছর বয়সী ওই তারকা ফুটবলার বলেন যে, ইউরোপের ক্যারিয়ারের অবসর ঘটাবেন বার্সাতেই। ৫ বারের বিশ্বসেরার খেতাব জয়ী মেসি ফ্রান্স ফুটবলকে বলেন, আমি সব সময় বলে আসছি যে, বার্সেলোনাই হচ্ছে আমার ঠিকানা। এই ক্লাব থেকেই আমি অবসরে যেতে চাই। ইউরোপের ক্যারিয়ারে আমি কখনো অন্য কোন ক্লাবে খেলবো না।
তবে এর বাইরে আমি আর্জেন্টিনায় খেলতে চাই। কারণ, আমি যখন খুবই ছোট ছিলাম তখনই দেশ ছেড়ে এসেছি। তাই আমি দেখতে চাই আর্জেন্টিনায় খেলতে কেমন লাগে। ফুটবলে যে কোন কিছুই ঘটতে পারে। তবে আমার চাওয়া নিয়ে কোন ধরনের সন্দেহের অবকাশ নেই। আর আমি চাই বার্সেলোনায় থাকতে।
ইনজুরির কারণে দুই মাস মাঠের বাইরে কাটানোর পরও মেসি হচ্ছে বর্তমান বার্সেলোনার প্রাণভোমরা। চলতি মৌসুমে তিনি ক্লাবের হয়ে ২৩ ম্যাচে অংশ নিয়ে এখনো পর্যন্ত আদায় করেছেন ১৯টি গোল। আগামী ২০১৮ সাল পর্যন্ত ন্যু ক্যাম্পে থাকার চুক্তি রয়েছে এই ফুটবল সুপারস্টারের।
ইরান থেকে প্রকাশিত কোনো বইয়ে আর মদ শব্দটি ব্যবহার করা যাবে না। মদ ছাড়া
আরো কিছু শব্দ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে দেশটির
সংস্কৃতি ও প্রকাশনা মন্ত্রণালয়। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
এছাড়া কিছু বিদেশি জন্তুর নাম এবং কয়েকজন প্রেসিডেন্টের নাম উল্লেখ করতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে কোন কোন প্রেসিডেন্টের নাম বইয়ে উল্লেখ করা যাবে না, তা এখনো বলা হয়নি। শিগগিরই এ বিষয়ে জানানো হবে বলা হয়েছে।
দেশটির সংস্কৃতিকে কলুষমুক্ত রাখতে বইয়ে মদ শব্দের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বইয়ে মদ শব্দ থাকলে তা মস্তিষ্কেও গেঁথে যায় বলে মনে করছে ইরান সরকার।
ইরানের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বই ছাপানোর অনুমতি দেয়ার আগে প্রতিটি বই পাতা ধরে পড়া হবে। এর মধ্যে কোনো অসঙ্গতি থাকলে তা ছাপার অনুমতি দেয়া হবে না।
এছাড়া কিছু বিদেশি জন্তুর নাম এবং কয়েকজন প্রেসিডেন্টের নাম উল্লেখ করতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে কোন কোন প্রেসিডেন্টের নাম বইয়ে উল্লেখ করা যাবে না, তা এখনো বলা হয়নি। শিগগিরই এ বিষয়ে জানানো হবে বলা হয়েছে।
দেশটির সংস্কৃতিকে কলুষমুক্ত রাখতে বইয়ে মদ শব্দের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বইয়ে মদ শব্দ থাকলে তা মস্তিষ্কেও গেঁথে যায় বলে মনে করছে ইরান সরকার।
ইরানের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বই ছাপানোর অনুমতি দেয়ার আগে প্রতিটি বই পাতা ধরে পড়া হবে। এর মধ্যে কোনো অসঙ্গতি থাকলে তা ছাপার অনুমতি দেয়া হবে না।
১৪ বছর বয়সে মায়ের সঙ্গে গ্রিসে ঘুরতে গিয়ে অপহরণের পর তার জীবন কীভাবে
বদলে গেল সেই চাঞ্চল্যকর ঘটনার বর্ণনা দিলেন এক ব্রিটিশ নারী, তা আবারো
টেলিভিশন ইন্টারভিউতে। খবর জিনিউজের।
মায়ের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ঘোরার প্রথম দিনটা ওর ভালোই কেটেছিল। মিউজিয়াম, প্রকৃতি, পিকনিক সব করেছিল, ঘুরেছিল, দেখেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দিনে মায়ের হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার পর তার জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। কতগুলো লোক ওকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে বিক্রি করে দেয়া হয় এক পতিতালয়ে। সেখানে এক বছর কাটানোর পর পতিতালয়ের মালিক তাকে অন্য জায়গায় বিক্রি করে দেয়।
নতুন জায়গাতে তার ওপর চলত অমানবিক শারীরিক নির্যাতন। সেই নারী জানান ২২ ঘণ্টার মধ্যে তাকে ১১০ জন পুরুষ ধর্ষণ করে। শেষ পর্যন্ত সে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বরাত জোরে সে বেঁচে যায়।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর সে নতুন জীবন পায়। তার জীবনে প্রেম আসে। বদলে যায় জীবন। এখন সে সন্তানসম্ভবা। টিভির সামনে নিজের জীবনের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন এই নারী।
মায়ের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ঘোরার প্রথম দিনটা ওর ভালোই কেটেছিল। মিউজিয়াম, প্রকৃতি, পিকনিক সব করেছিল, ঘুরেছিল, দেখেছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দিনে মায়ের হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার পর তার জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। কতগুলো লোক ওকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে বিক্রি করে দেয়া হয় এক পতিতালয়ে। সেখানে এক বছর কাটানোর পর পতিতালয়ের মালিক তাকে অন্য জায়গায় বিক্রি করে দেয়।
নতুন জায়গাতে তার ওপর চলত অমানবিক শারীরিক নির্যাতন। সেই নারী জানান ২২ ঘণ্টার মধ্যে তাকে ১১০ জন পুরুষ ধর্ষণ করে। শেষ পর্যন্ত সে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বরাত জোরে সে বেঁচে যায়।
হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর সে নতুন জীবন পায়। তার জীবনে প্রেম আসে। বদলে যায় জীবন। এখন সে সন্তানসম্ভবা। টিভির সামনে নিজের জীবনের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন এই নারী।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে যাচ্ছে সারাদেশের নিম্ন মাধ্যমিক
বিদ্যালয়। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ
দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) এ
চিঠি পাঠানো হয়েছে। বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র এ
তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র মতে, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ অনুযায়ী প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা হিসেবে ধরা হয়েছে। এ নীতি বাস্তাবায়নে এরই মধ্যে দেশের অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করা হয়েছে। শিক্ষানীতি প্রণয়নের আগে যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হতো সেগুলো নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে পরিচিত ছিল।
এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের অনুমতি, স্বীকৃতি, এমপিও প্রদানসহ সকল কার্যক্রম শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে পরিচালিত হতো। কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণি চালু করার পর এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমস্যা দেখা দেয়। এর প্রেক্ষিতেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ হতে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করার জন্য গত ২৮ ডিসেম্বর শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সারাদেশের ৩ হাজার ৪৫৮টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।
এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতি, একাডেমিক স্বীকৃতি, অতিরিক্ত শ্রেণি শাখা ও বিভাগ খোলা, সহশিক্ষা এবং ডাবল শিফট চালু করার বিষয়ে অনুমতি আপাতত স্থগিত থাকবে। এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সালমা জাহান সাক্ষরিত একটি চিঠি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)-সহ সকল শিক্ষা বোর্ডে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র মতে, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ অনুযায়ী প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা হিসেবে ধরা হয়েছে। এ নীতি বাস্তাবায়নে এরই মধ্যে দেশের অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করা হয়েছে। শিক্ষানীতি প্রণয়নের আগে যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হতো সেগুলো নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামে পরিচিত ছিল।
এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের অনুমতি, স্বীকৃতি, এমপিও প্রদানসহ সকল কার্যক্রম শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে পরিচালিত হতো। কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণি চালু করার পর এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমস্যা দেখা দেয়। এর প্রেক্ষিতেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ হতে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করার জন্য গত ২৮ ডিসেম্বর শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সারাদেশের ৩ হাজার ৪৫৮টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।
এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদানের অনুমতি, একাডেমিক স্বীকৃতি, অতিরিক্ত শ্রেণি শাখা ও বিভাগ খোলা, সহশিক্ষা এবং ডাবল শিফট চালু করার বিষয়ে অনুমতি আপাতত স্থগিত থাকবে। এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সালমা জাহান সাক্ষরিত একটি চিঠি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)-সহ সকল শিক্ষা বোর্ডে পাঠানো হয়েছে।
দুর্নীতিমুক্ত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে জঙ্গি ও সাইবার অপরাধীদের দমন করার
বিকল্প নেই, এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বুধবার
রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে মাল্টিপ্লান কম্পিউটার সিটি সেন্টারে ছয়দিনব্যাপি
‘ডিজিটাল আইসিটি ফেয়ার-২০১৬’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতার দরজা উন্মুক্ত করেছেন আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলছেন’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার যে সকল ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, তথ্যপ্রযুক্তির সুচারু প্রয়োগ ও জঙ্গিদমন তার মধ্যে অন্যতম।’
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘ইন্টারনেট মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোর একটি হিসেবে ঘোষিত হওয়া উচিত এবং পরিতাপের বিষয়, বেগম জিয়া প্রথম থেকেই তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টিকে কটাক্ষ করে আসছেন।’
কম্পিউটার সিটি সেন্টার দোকানমালিক সমিতির সভাপতি ও মেলার আহ্বায়ক তৌফিক এহসানের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এমপি, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, তথ্যপ্রযুক্তি মোস্তফা জব্বারসহ সমিতির প্রধান উপদেষ্টা মোস্তফা মহসীন মন্টু ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. সুব্রত সরকার সকলেই ভ্যাট প্রদান ব্যবস্থায় নিয়মতান্ত্রিকতা বজায় থাকার ওপর সবিশেষ গুরুত্বারাপ করেন।
এবছরের মেলাটি কম্পিউটার সিটি সেন্টার দোকানমালিক সমিতির সপ্তম আয়োজন। ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা অবধি এমেলায় অংশ নিচ্ছে সাড়ে ছয়শ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আসুস, এইচপি, লেনোভো, স্যামসাংসহ তথ্যপ্রযুক্তি সেবা ও পণ্য বাজারজাতকারী বেশ কয়েকটি খ্যাতনামা সংস্থা মেলার পৃষ্ঠপোষকতায় এ মেলাতে তথ্যপ্রযুক্তিপণ্যে মূল্যছাড়, শিশু-কিশোরদের প্রতিযোগিতাসহ নানা আয়োজন রয়েছে।
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দেশের স্বাধীনতার দরজা উন্মুক্ত করেছেন আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলছেন’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার যে সকল ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, তথ্যপ্রযুক্তির সুচারু প্রয়োগ ও জঙ্গিদমন তার মধ্যে অন্যতম।’
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘ইন্টারনেট মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোর একটি হিসেবে ঘোষিত হওয়া উচিত এবং পরিতাপের বিষয়, বেগম জিয়া প্রথম থেকেই তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টিকে কটাক্ষ করে আসছেন।’
কম্পিউটার সিটি সেন্টার দোকানমালিক সমিতির সভাপতি ও মেলার আহ্বায়ক তৌফিক এহসানের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এমপি, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, তথ্যপ্রযুক্তি মোস্তফা জব্বারসহ সমিতির প্রধান উপদেষ্টা মোস্তফা মহসীন মন্টু ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জি. সুব্রত সরকার সকলেই ভ্যাট প্রদান ব্যবস্থায় নিয়মতান্ত্রিকতা বজায় থাকার ওপর সবিশেষ গুরুত্বারাপ করেন।
এবছরের মেলাটি কম্পিউটার সিটি সেন্টার দোকানমালিক সমিতির সপ্তম আয়োজন। ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা অবধি এমেলায় অংশ নিচ্ছে সাড়ে ছয়শ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আসুস, এইচপি, লেনোভো, স্যামসাংসহ তথ্যপ্রযুক্তি সেবা ও পণ্য বাজারজাতকারী বেশ কয়েকটি খ্যাতনামা সংস্থা মেলার পৃষ্ঠপোষকতায় এ মেলাতে তথ্যপ্রযুক্তিপণ্যে মূল্যছাড়, শিশু-কিশোরদের প্রতিযোগিতাসহ নানা আয়োজন রয়েছে।
কেবল বাংলাদেশি যাত্রীদের জন্যই যেন নিয়মটা আলাদা। অন্যান্য দেশের
নাগরিকদের নির্দিষ্ট কাউন্টারে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হলেও
বাংলাদেশিদের ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যাওয়ার আগে লাইনে দাঁড় করিয়ে
তথ্যানুসন্ধান করা হয়।
বুধবার এমন ঘটনা চোখে পড়লো মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশিদের আলাদা লাইনে দাঁড় করিয়ে তথ্যানুসন্ধানের নামে অপমানও করা হয়।
অবশ্য মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা বলছেন, বিমানবন্দরে বাড়তি নিরাপত্তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশিদের উপর বাড়তি নজরদারি অংশ হিসেবে তারা প্রত্যেক যাত্রীর তথ্যানুসন্ধান করে তাদের ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হচ্ছে। কাউকে নাজেহাল করার জন্য নয়।
বুধবার সকাল ৭টায় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কেএলএআই) অবতরণ করে মালইন্দো এয়ারলাইন্সের ওডি-১৬১ ফ্লাইট। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার দুইশ যাত্রী বোর্ডিংব্রিজ পেরিয়ে টার্মিনালে প্রবেশ করতেই তিনজন নারী ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা বললেন, সব বাংলাদেশিকে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে হবে। পাশ দিয়ে বিনা বাধায় ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যাবার অনুমতি মিললো অন্যান্য দেশের যাত্রীদের। বৈধ ভিসায় পর্যটক হিসেবে গিয়ে এভাবে প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ছেন হাজারো বাংলাদেশি।
সরেজমিন বুধবার সকালে মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরে এমন ভোগান্তিতে পড়া টাঙ্গাইলের ফিরোজ আল-মামুন বলেন, হলিডে ট্যুরে মালয়েশিয়া এসেছিলাম। ইমিগ্রেশনের নারী কর্মকর্তা ইয়াসমীন জামিন হাত থেকে পাসপোর্ট-টিকিট ছিনিয়ে নিয়ে নানা প্রশ্ন করে আমাকে নাজেহাল করার চেষ্টা করে। প্রায় এক ঘণ্টা আটকে রাখা হয় তাকে।
কামরুল হাসান নামে আরেক বাংলাদেশির অভিযোগ, ইমিগেশনের একটি কক্ষে বেলা ১০টা পর্যন্ত তাকে আটকে রাখা হয়। পরে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান কামরুল হাসান। এভাবে প্রতিদিনই হয়রানির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।
বিষয়টি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তারা বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই যাত্রীদের কাছ থেকে বিমানবন্দরে হয়রানির এমন অভিযোগ পাচ্ছেন।
বুধবার এমন ঘটনা চোখে পড়লো মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, বাংলাদেশিদের আলাদা লাইনে দাঁড় করিয়ে তথ্যানুসন্ধানের নামে অপমানও করা হয়।
অবশ্য মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা বলছেন, বিমানবন্দরে বাড়তি নিরাপত্তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশিদের উপর বাড়তি নজরদারি অংশ হিসেবে তারা প্রত্যেক যাত্রীর তথ্যানুসন্ধান করে তাদের ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হচ্ছে। কাউকে নাজেহাল করার জন্য নয়।
বুধবার সকাল ৭টায় মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কেএলএআই) অবতরণ করে মালইন্দো এয়ারলাইন্সের ওডি-১৬১ ফ্লাইট। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার দুইশ যাত্রী বোর্ডিংব্রিজ পেরিয়ে টার্মিনালে প্রবেশ করতেই তিনজন নারী ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা বললেন, সব বাংলাদেশিকে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে হবে। পাশ দিয়ে বিনা বাধায় ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যাবার অনুমতি মিললো অন্যান্য দেশের যাত্রীদের। বৈধ ভিসায় পর্যটক হিসেবে গিয়ে এভাবে প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ছেন হাজারো বাংলাদেশি।
সরেজমিন বুধবার সকালে মালয়েশিয়ার বিমানবন্দরে এমন ভোগান্তিতে পড়া টাঙ্গাইলের ফিরোজ আল-মামুন বলেন, হলিডে ট্যুরে মালয়েশিয়া এসেছিলাম। ইমিগ্রেশনের নারী কর্মকর্তা ইয়াসমীন জামিন হাত থেকে পাসপোর্ট-টিকিট ছিনিয়ে নিয়ে নানা প্রশ্ন করে আমাকে নাজেহাল করার চেষ্টা করে। প্রায় এক ঘণ্টা আটকে রাখা হয় তাকে।
কামরুল হাসান নামে আরেক বাংলাদেশির অভিযোগ, ইমিগেশনের একটি কক্ষে বেলা ১০টা পর্যন্ত তাকে আটকে রাখা হয়। পরে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান কামরুল হাসান। এভাবে প্রতিদিনই হয়রানির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।
বিষয়টি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তারা বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই যাত্রীদের কাছ থেকে বিমানবন্দরে হয়রানির এমন অভিযোগ পাচ্ছেন।
দীর্ঘ চার বছর পর সিলেট যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সদ্যসমাপ্ত
পৌরসভা নির্বাচনে সিলেটে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের তিন সপ্তাহের মাথায়
আজ সকাল ১১টায় সিলেট যাচ্ছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে প্রস্তুত
সিলেটবাসী।
প্রধানমন্ত্রীর সিলেট সফরকে ঘিরে নগরজুড়ে নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তার জনসভা ও অবস্থানস্থলে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। লাখো মানুষের সমাবেশের মঞ্চ প্রস্তুত সিলেট আলিয়া মাদরাসা মাঠে। বিকেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষন দেবেন তিনি। আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার ঘোষণা দেবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
টানা দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর এটাই হবে তার প্রথম সিলেট সফর। গত মেয়াদে দায়িত্ব পালনকালে ২০১২ সালে ২৪ মার্চ তিনি সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন। চার বছর পর একই স্থানে আবারও জনসভায় ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে স্মরণকালের বৃহত্তম জনসমুদ্রে রূপ দিতে সামর্থের সর্বোচ্চটুকু ব্যয় করছেন ক্ষমতাসীন দল, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। প্রধানমন্ত্রীর সফর হওয়ায় প্রশাসনে এখন চলছে তুমুল ব্যস্ততা। সফর ঘিরে নেয়া হয়েছে ছয় স্তরের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সফরকালে নির্দিষ্টসময়ে নগরের প্রধান সড়কে যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে মহানগর পুলিশ।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি : বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সিলেট পৌঁছার কথা। ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন। ওখান থেকে প্রথমে হজরত শাহজালাল (রাহ.) ও হজরত শাহপরান (রাহ.) মাজার জিয়ারত করবেন। এরপর দুপুর ১২টায় তিনি মদনমোহন কলেজের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্লাটিনাম জুবিলি উৎসবে যোগ দেবেন।
সোয়া ১টার দিকে সিলেট সার্কিট হাউজে ফিরে নামাজ ও মধ্যহ্ন ভোজের বিরতি। এরপর বিকেল ৩টায় তিনি সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের জনসভায়স্থলে পৌঁছবেন। সেখানে পৌঁছে প্রথমে তিনি দশটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ১২টির ভিত্তিস্থাপন করবেন। অস্থায়ীভাবে এসব প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে মাঠের একপাশে। এরপর জনসভায় যোগ দিয়ে বিকেল ৫টার দিকে ফের হেলিকপ্টারে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সফর সূচি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রচার উৎসব সিলেটে : প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে উৎসবের আমেজ এখন সিলেটে। বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে নগরী। তৈরি হচ্ছে সুসজ্জিত মঞ্চ। একদিকে প্রধামন্ত্রীর সফর। অন্যদিকে সদ্যসমাপ্ত পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের প্রায় নিরঙ্কুশ বিজয়, প্রচারণায় এনেছে উৎসব আর আত্মগৌরবের আমেজ।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে নগরে শোভা পাচ্ছে বড় বড় বিলবোর্ড, ঝুলছে ডিজিটাল ব্যানার-ফেস্টুন, সাটানো হয়েছে চাররঙা পোস্টার। এয়ারপোর্ট রুট থেকে নিয়ে জনসভাস্থলসহ নগরীর প্রধান সবগুলো সড়কের স্থানে স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। মাসের শুরু থেকেই চলছে প্রচার-প্রচারণা। নগরী ছাড়িয়ে এই প্রচারণা চলেছে সিলেট বিভাগজুড়ে। প্রায় প্রতিদিনই আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর সফর সফলে আনন্দ মিছিল-কর্মীসভা-স্বাগত শোভাযাত্রা করছেন।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও এসএসএফের সদস্য ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দফায় দফায় পরিদর্শন করছেন জনসভাস্থলসহ প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচিভুক্ত এলাকা। প্রধানমন্ত্রীর সফর বিষয়ে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান জানান, প্রধানমন্ত্রীর সফর ও জনসভা সফল করতে তারা একযোগে কাজ করছেন। স্মরণকালের বৃহত্তম জনসভা হবে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রতীক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি দিনদিন মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা বাড়ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রতি সেই ভালোবাসা থেকেই আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের জনসভায় লাখো মানুষ উপস্থিত হবেন।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা : প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে বেশ তোড়জোড় চলছে। নিরাপত্তার সমন্বয় করার জন্য এক বাহিনী অন্য বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকে মিলিত হচ্ছে। সফরকে নির্বিঘ্ন করতে গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাব, পুলিশ মিলে চলছে দফায় দফায় বৈঠক। সিলেটজুড়ে ছয় স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সফরে তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)। তবে পুরো সফরে নিরাপত্তা দিকটি সমন্বয় করবে সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি)। তাদেরকে সাহায্য করবে গোয়েন্দা সংস্থা এবং র্যাবের সদস্যরা।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় ছয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল থাকবে। ইনার কর্ডন, আউটার কর্ডন, রোড ব্যবস্থাপনা, রুফটপ, ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ও সাদা পোশাকধারী- এই ছয়টি স্তরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে পুলিশ।
এসএমপি সূত্রে জানা যায়, সিলেট মহানগরীর ছয়টি থানার পুলিশ সদস্য ছাড়াও মহানগরীর বাইরে থেকে জেলা পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্যকে নিরাপত্তা কাজের জন্য নিয়ে আসা হবে। সবমিলিয়ে পাঁচ সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য পুরো সিলেটজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে।
পুলিশের মূল নজর থাকবে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল, মদনমোহন কলেজের অনুষ্ঠানস্থল, তার যাত্রাপথ এবং আশপাশের এলাকা। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নিরাপত্তার স্বার্থে নগরীর বিভিন্ন হোটেল, গেস্ট হাউস, মেস এবং বাসা-বাড়ির দিকেও নজর রাখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
পুলিশ সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থলের আশপাশের সকল ভবনে বিশেষ নজরদারি রাখা হবে। এসব ভবনের ছাদে সশস্ত্র পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। প্রধানমন্ত্রী আসবেন আজ বৃহস্পতিবার, এর আগের দিন বুধবার আগের দিন থেকেই তার অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশের ভবনগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে পুলিশ।
সিসি ক্যামেরার আওতায় জনসভা : সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া বিষয়ক কর্মকর্তা (এডিসি) রহমত উল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থলসহ আশপাশের প্রধান প্রধান সড়কের পাশে অর্ধশতাধিক সিসি ক্যামেরার বসানো হচ্ছে। মঙ্গলবার থেকে এ ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। গত মঙ্গলবার ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া ১ সপ্তাহ থেকে পুলিশ ও ১ মাস আগ থেকে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।
যেসব প্রকল্পের উদ্বোধন : উদ্বোধন অপেক্ষায় থাকা প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া আইসিটি ভবন, আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্স, জৈন্তাপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, এপিবিএম এর ব্যারাক ভবন, ওসমানীনগর থানা ভবন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নির্মিত হোস্টেল ভবন, মাছিমপুর এলাকার সুরমা নদীর তীরে নির্মিত ওয়াকওয়ে, এমসি কলেজের মাঠের সীমানা প্রাচীরের গেইট, সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালকে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালে রূপান্তর, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবন।
যেসব প্রকল্পের ভিত্তিস্থাপন : এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে সিলেট আউটার স্টেডিয়াম, খসরুপুর বাজার জিসি-পৈলনপুর-বালাগঞ্জ জিসি সড়ক উন্নয়ন, হরিপুর জিসি-গাছবাড়ী জিসি সড়ক (কানাইঘাট অংশ), মৈয়াখালী বাজার-আরঅ্যান্ডসুইচ (বারোহাল ইউপি অফিস) ভায়া হাটুবিল মাদ্রাসা সড়ক উন্নয়ন, নারী পুলিশ ডরমেটরি ভবনের অর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ, শাহপরান থানা ভবন নির্মাণ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের বিভাগীয় ও জেলা অফিস নির্মাণ, সিলেট বিভাগীয় ও জেলা এপিএসআই কার্যালয় ভবন নির্মাণ, তামাবিল স্থলবন্দর নির্মাণ, জিরত গাজী বোরহান উদ্দিন (রহ.) মাজার, তিনতলা ভিত্তি বিশিষ্ট মসজিদ, মহিলা এবাদতখানা ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) সিলেট বিভাগ এবং সিভিল সার্জন সিলেট কার্যালয় ভবন নির্মাণ কাজ ও সিলেট ইলেক্ট্রনিক সিটি।
‘সাতকরায়’ আপ্যায়িত হবেন প্রধানমন্ত্রী : সিলেটের স্বতন্ত্র খাবার সাতকরার (হাতকরা) প্রতি ভোজন রসিকদের আগ্রহের মাত্রা একটু বেশি। গরুর মাংসের সঙ্গে সাতকরা, সুস্বাদু এক তরকারির নাম। একবার খেলে, কখনো স্বাদ ভোলা যায় না- এমনই গুণ সাতকরায়।
সাতকরার গুণে মুগ্ধ সকলে। টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও মন পড়ে আছে সাতকরায়। গত বছরের ৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সিলেটের কাজীরবাজার সেতুসহ বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন কালে বলেন, ‘আমি অনেকবার সিলেটে গিয়েছি। কিন্তু সাতকরা দিয়ে গরুর মাংস কখনো খাইনি। সাতকরার দিয়ে গরুর মাংসের অনেক প্রশংসা শুনেছি। তাই এই আইটেমটি না খাওয়ার জন্য আমার আফসোস রয়ে গেছে। আমি আগামীতে সিলেট গেলে অবশ্যই গরুর মাংস দিয়ে সাতকরা খেতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রী সেই ইচ্ছে পুরণ হচ্ছে আজ। সকালে সিলেট পৌঁছার পর শাহজালাল, শাহপরান (রাহ.) মাজার জিয়ারত, মদনমোহন কলেজের হীরকজয়ন্তীতে যোগদান শেষে নামাজের বিরতি ও মধ্যাহ্ণভোজ হবে সিলেট সার্কিট হাউজে। খাবারের অন্যান্য পদের সঙ্গে হাতকরার পদও পরিবেশিত হবে প্রধানমন্ত্রীর জন্যে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের সব খাবারই মেনুতে থাকবে। বিশেষভাবে থাকবে সাতকরা দিয়ে রান্না করা গরুর মাংস।
প্রধানমন্ত্রীর সিলেট সফরকে ঘিরে নগরজুড়ে নেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তার জনসভা ও অবস্থানস্থলে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। লাখো মানুষের সমাবেশের মঞ্চ প্রস্তুত সিলেট আলিয়া মাদরাসা মাঠে। বিকেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষন দেবেন তিনি। আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার ঘোষণা দেবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
টানা দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর এটাই হবে তার প্রথম সিলেট সফর। গত মেয়াদে দায়িত্ব পালনকালে ২০১২ সালে ২৪ মার্চ তিনি সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন। চার বছর পর একই স্থানে আবারও জনসভায় ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে স্মরণকালের বৃহত্তম জনসমুদ্রে রূপ দিতে সামর্থের সর্বোচ্চটুকু ব্যয় করছেন ক্ষমতাসীন দল, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। প্রধানমন্ত্রীর সফর হওয়ায় প্রশাসনে এখন চলছে তুমুল ব্যস্ততা। সফর ঘিরে নেয়া হয়েছে ছয় স্তরের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সফরকালে নির্দিষ্টসময়ে নগরের প্রধান সড়কে যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে মহানগর পুলিশ।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি : বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সিলেট পৌঁছার কথা। ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন। ওখান থেকে প্রথমে হজরত শাহজালাল (রাহ.) ও হজরত শাহপরান (রাহ.) মাজার জিয়ারত করবেন। এরপর দুপুর ১২টায় তিনি মদনমোহন কলেজের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্লাটিনাম জুবিলি উৎসবে যোগ দেবেন।
সোয়া ১টার দিকে সিলেট সার্কিট হাউজে ফিরে নামাজ ও মধ্যহ্ন ভোজের বিরতি। এরপর বিকেল ৩টায় তিনি সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের জনসভায়স্থলে পৌঁছবেন। সেখানে পৌঁছে প্রথমে তিনি দশটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ১২টির ভিত্তিস্থাপন করবেন। অস্থায়ীভাবে এসব প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে মাঠের একপাশে। এরপর জনসভায় যোগ দিয়ে বিকেল ৫টার দিকে ফের হেলিকপ্টারে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন। প্রধানমন্ত্রীর সফর সূচি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রচার উৎসব সিলেটে : প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে উৎসবের আমেজ এখন সিলেটে। বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে নগরী। তৈরি হচ্ছে সুসজ্জিত মঞ্চ। একদিকে প্রধামন্ত্রীর সফর। অন্যদিকে সদ্যসমাপ্ত পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের প্রায় নিরঙ্কুশ বিজয়, প্রচারণায় এনেছে উৎসব আর আত্মগৌরবের আমেজ।
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে নগরে শোভা পাচ্ছে বড় বড় বিলবোর্ড, ঝুলছে ডিজিটাল ব্যানার-ফেস্টুন, সাটানো হয়েছে চাররঙা পোস্টার। এয়ারপোর্ট রুট থেকে নিয়ে জনসভাস্থলসহ নগরীর প্রধান সবগুলো সড়কের স্থানে স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। মাসের শুরু থেকেই চলছে প্রচার-প্রচারণা। নগরী ছাড়িয়ে এই প্রচারণা চলেছে সিলেট বিভাগজুড়ে। প্রায় প্রতিদিনই আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর সফর সফলে আনন্দ মিছিল-কর্মীসভা-স্বাগত শোভাযাত্রা করছেন।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও এসএসএফের সদস্য ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দফায় দফায় পরিদর্শন করছেন জনসভাস্থলসহ প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচিভুক্ত এলাকা। প্রধানমন্ত্রীর সফর বিষয়ে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরান জানান, প্রধানমন্ত্রীর সফর ও জনসভা সফল করতে তারা একযোগে কাজ করছেন। স্মরণকালের বৃহত্তম জনসভা হবে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রতীক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি দিনদিন মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা বাড়ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রতি সেই ভালোবাসা থেকেই আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের জনসভায় লাখো মানুষ উপস্থিত হবেন।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা : প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে বেশ তোড়জোড় চলছে। নিরাপত্তার সমন্বয় করার জন্য এক বাহিনী অন্য বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকে মিলিত হচ্ছে। সফরকে নির্বিঘ্ন করতে গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাব, পুলিশ মিলে চলছে দফায় দফায় বৈঠক। সিলেটজুড়ে ছয় স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সফরে তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)। তবে পুরো সফরে নিরাপত্তা দিকটি সমন্বয় করবে সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি)। তাদেরকে সাহায্য করবে গোয়েন্দা সংস্থা এবং র্যাবের সদস্যরা।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় ছয় স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল থাকবে। ইনার কর্ডন, আউটার কর্ডন, রোড ব্যবস্থাপনা, রুফটপ, ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ও সাদা পোশাকধারী- এই ছয়টি স্তরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে পুলিশ।
এসএমপি সূত্রে জানা যায়, সিলেট মহানগরীর ছয়টি থানার পুলিশ সদস্য ছাড়াও মহানগরীর বাইরে থেকে জেলা পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্যকে নিরাপত্তা কাজের জন্য নিয়ে আসা হবে। সবমিলিয়ে পাঁচ সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য পুরো সিলেটজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে।
পুলিশের মূল নজর থাকবে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল, মদনমোহন কলেজের অনুষ্ঠানস্থল, তার যাত্রাপথ এবং আশপাশের এলাকা। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নিরাপত্তার স্বার্থে নগরীর বিভিন্ন হোটেল, গেস্ট হাউস, মেস এবং বাসা-বাড়ির দিকেও নজর রাখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
পুলিশ সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থলের আশপাশের সকল ভবনে বিশেষ নজরদারি রাখা হবে। এসব ভবনের ছাদে সশস্ত্র পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। প্রধানমন্ত্রী আসবেন আজ বৃহস্পতিবার, এর আগের দিন বুধবার আগের দিন থেকেই তার অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশের ভবনগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে পুলিশ।
সিসি ক্যামেরার আওতায় জনসভা : সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া বিষয়ক কর্মকর্তা (এডিসি) রহমত উল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থলসহ আশপাশের প্রধান প্রধান সড়কের পাশে অর্ধশতাধিক সিসি ক্যামেরার বসানো হচ্ছে। মঙ্গলবার থেকে এ ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। গত মঙ্গলবার ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া ১ সপ্তাহ থেকে পুলিশ ও ১ মাস আগ থেকে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে।
যেসব প্রকল্পের উদ্বোধন : উদ্বোধন অপেক্ষায় থাকা প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া আইসিটি ভবন, আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্স, জৈন্তাপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন, এপিবিএম এর ব্যারাক ভবন, ওসমানীনগর থানা ভবন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নির্মিত হোস্টেল ভবন, মাছিমপুর এলাকার সুরমা নদীর তীরে নির্মিত ওয়াকওয়ে, এমসি কলেজের মাঠের সীমানা প্রাচীরের গেইট, সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালকে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালে রূপান্তর, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবন।
যেসব প্রকল্পের ভিত্তিস্থাপন : এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে সিলেট আউটার স্টেডিয়াম, খসরুপুর বাজার জিসি-পৈলনপুর-বালাগঞ্জ জিসি সড়ক উন্নয়ন, হরিপুর জিসি-গাছবাড়ী জিসি সড়ক (কানাইঘাট অংশ), মৈয়াখালী বাজার-আরঅ্যান্ডসুইচ (বারোহাল ইউপি অফিস) ভায়া হাটুবিল মাদ্রাসা সড়ক উন্নয়ন, নারী পুলিশ ডরমেটরি ভবনের অর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কাজ, শাহপরান থানা ভবন নির্মাণ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের বিভাগীয় ও জেলা অফিস নির্মাণ, সিলেট বিভাগীয় ও জেলা এপিএসআই কার্যালয় ভবন নির্মাণ, তামাবিল স্থলবন্দর নির্মাণ, জিরত গাজী বোরহান উদ্দিন (রহ.) মাজার, তিনতলা ভিত্তি বিশিষ্ট মসজিদ, মহিলা এবাদতখানা ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) সিলেট বিভাগ এবং সিভিল সার্জন সিলেট কার্যালয় ভবন নির্মাণ কাজ ও সিলেট ইলেক্ট্রনিক সিটি।
‘সাতকরায়’ আপ্যায়িত হবেন প্রধানমন্ত্রী : সিলেটের স্বতন্ত্র খাবার সাতকরার (হাতকরা) প্রতি ভোজন রসিকদের আগ্রহের মাত্রা একটু বেশি। গরুর মাংসের সঙ্গে সাতকরা, সুস্বাদু এক তরকারির নাম। একবার খেলে, কখনো স্বাদ ভোলা যায় না- এমনই গুণ সাতকরায়।
সাতকরার গুণে মুগ্ধ সকলে। টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও মন পড়ে আছে সাতকরায়। গত বছরের ৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সিলেটের কাজীরবাজার সেতুসহ বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন কালে বলেন, ‘আমি অনেকবার সিলেটে গিয়েছি। কিন্তু সাতকরা দিয়ে গরুর মাংস কখনো খাইনি। সাতকরার দিয়ে গরুর মাংসের অনেক প্রশংসা শুনেছি। তাই এই আইটেমটি না খাওয়ার জন্য আমার আফসোস রয়ে গেছে। আমি আগামীতে সিলেট গেলে অবশ্যই গরুর মাংস দিয়ে সাতকরা খেতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রী সেই ইচ্ছে পুরণ হচ্ছে আজ। সকালে সিলেট পৌঁছার পর শাহজালাল, শাহপরান (রাহ.) মাজার জিয়ারত, মদনমোহন কলেজের হীরকজয়ন্তীতে যোগদান শেষে নামাজের বিরতি ও মধ্যাহ্ণভোজ হবে সিলেট সার্কিট হাউজে। খাবারের অন্যান্য পদের সঙ্গে হাতকরার পদও পরিবেশিত হবে প্রধানমন্ত্রীর জন্যে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের সব খাবারই মেনুতে থাকবে। বিশেষভাবে থাকবে সাতকরা দিয়ে রান্না করা গরুর মাংস।